সংযোগ
লক্ষ্মী
ভেঙে যাচ্ছে নদী—
রূপালি পাথর পরস্পর মিশে গড়ছে বাহারি সেতু।
কোন পাপে পৃথিবীতে মানুষে প্রেমে পড়ে; হৃদয়ে
নদী খোঁড়ে দুঃখের ফসল আবাদে? এই ভাবনার
উত্তর খেলায়, যে আমি তুমির ছলে —তোমারেই
ভেবে নেই, উত্তর বসায়ে দেই শূন্যের সহায়। সে,
যে কত অসহায়, দেখে নিও আয়নায়।
সেলফির অসুখে নয় মুখ দেখো জলের জানলায়!
ময়ূর
পেখমের পিছে লিখে রাখো ময়ূর বৃষ্টির বেদনা।
ময়ূরীরা সব
দূর জঙ্গলে ভিজছে ঝরনায়
তাদের উৎসবে, নাচে আলোময়ী রাত
রতির মুদ্রায় মেশা আততায়ী আঘাত।
নিঃসঙ্গ ময়ূর
পরাণে শুধুই প্রেম, প্রতারণা তীর নাইযে কেনা
পেখমের পিছে লিখে রাখো তাই, বৃষ্টির বেদনা।
প্রতি পরজন্ম
গত জনমেও বলেছিলে এই সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে
‘না, আমারে তুমি ভুলে যাও —কষ্ট বাড়ায়ো না।’
জনম জনম—
জানি শুধু, ভুলে ভুলে যাবো, কষ্ট বাড়াব না,
তোমার নিষেধে ফিরে যাবো বনে ভালোবেসে
যাতনা!
আগামী জনমে দেখো—
সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে তুমি, ভীষণ আলোয় পুড়বে
সকাল থেকে সন্ধ্যা হবে, তারপর তুমি একাকীই
কবে— ‘কষ্ট বাড়ায়ো না’, শুধু বলবার প্রয়োজনে।
সিনেমা সিনেমা খেলা
নায়িকা ববিতার সিনেমা দেখছিলাম সেইযে কোনকালে
স্মৃতি না ঘেঁটেই মুখস্থ বলে দিতে পারি শুক্রবার বিকেলে
মগজের ত্বরিৎ উত্তরে
হৃদয়ের বোধে ব্যথা জমে যায়।
সেই বিকেলের স্মৃতিতে ববিতা নায়কের সঙ্গে বিছানায়
গেলে দুলে যে উঠেছিল ফুল, সেইসব ফুল মরে গেছে
সিনেমার সাজানো সেটে।—ওই বিছানাডা শুনি ভাড়ায়
আনা হইছিল। নায়কও ভাঁড়ার! বিশ্বাস হয় না তবু,
নায়িকা ভাড়ার ছিল!
এতকাল পরও হঠাৎ বিকেল এলে,
মনে হয় বিজ্ঞাপন বিরতিতে আমি আলমগীর আর তুমি
ববিতা! এখনো চলছে আমাদের সিনেমা সিনেমা খেলা।