১.
আমার একবারও ইচ্ছে নেই গ্রহণ অথবা বর্জনে। গজিয়ে উঠি গাছ
হয়ে। গাছের একটা গভীর মর্মর দাহ আছে শব্দের প্রতিবদনে কাচের
সংসার ক্রমশই গুটিয়ে আসবে আমারই নরখোলটির আনাচকানাচে।
ভৈরবী রাগিনীর ওপর বসানো প্রেমের পদ্ম, একটা শরৎ পেরোলে
ঠাণ্ডা হাওয়া আবেগের চূড়ান্ত উবু হয়ে থাকা মুছে দেয় গাঢ় ভঙ্গিমা।
কোন স্বরে ডাকবো তোমাকে আনন্দী? তোমার কি কোনো অপ্রেম
আছে, যা গিটারের মতো শরীরে পাঁজরে অস্থিতে নাভিতে মাতৃদ্বারে
ভাঙতে থাকে বরাবর? ও হো, এবার থামো বেগহীন হতে হতে শব্দহীন
নাবিক হও।
২.
গাছের ছালে সাজানো আমার ঘরে সুন্দরের চর্চা বড়ই গহন হয়ে
ওঠে, পরম আমার নিভৃত শস্যের কথা বলে দহনে অর্ধাকৃতি মাথা ঘুরে
ফিরে আসে, ভ্রমণ শেষে তোমার ছবি মুখের বদলে আসে তাও তো
একটি নর্দমার কাছাকাছি পরিচর্যা উড়ে বেড়ায় ভাঙা এক দেবীর
আসনে। বন্দনা করো। বন্দনার অভিপ্রায় নিয়ে আমি ভেতর থেকে
প্রেম ডেকে আনি পেতে রাখি ছেঁড়া চামড়ার আঁশ এই পুরনো
নগরে…
৩.
রূপার বাসন। দুপুরটা ক্ষয়ে আসছে। মাংস ভক্ষণে যে গন্ধ স্বাদ আর
ভ্রমের কথা তৈরি হয়, তার থেকে আঁজলা ভরে জল আনি। শিরাকাঁপা
হাতে রক্ত ওঠে ফিনকি দিয়ে। বিরলতম খিদের ঘোরে পাক খাই
তৃষ্ণায় মাতাল মাছ হই থৈ থৈ করি টানাটানি করি হাঁস…তোমার নাকি
একটা ময়ূর ছিল আপন অন্ধকারে রাখা আয়ু ছিল, সে পুরনো হয়ে
দুপুরের জীর্ণ জড়ো করা আলো হয়ে ঘোরে…এরপর কবিতার কাছে
ঋণ মুছে যাবে।