প্রতিবাস্তব কবিতা
ভেড়াগুলো পাহাড়ে পাহাড়ে মুখ দেয় সবুজ ছুড়িপাতায়
ঘচাঘচ খেয়ে ফেলে ধারালো ইস্পাত।
সমতলে বসে ওরা মেরিনেট করে কোশের-কাফের,
স্বপ্নোত্থিত গৃহস্থের দেহের ভেতরে
. ঢুকে পড়ে দূরের দরোজা।
ছাতা মেলে বৃষ্টি ঘটায় দুজন মেষবালক-মেষবালিকা
. চুপি চুপি।
মধ্যস্বরে সলজ্জ দুপুর বাজে পাহাড়ের ঢালে
জংলিফুলেরা রূপপ্রবণ খোপায় গুঁজে নেয়
. অক্ষতযোনী কুমারীদের।
মেঘেরা হাওয়া দেয়
গাছেরা দোলায় পূবের বাতাস
তুষারের ধবল খাতায় প্রাইভেট অন্ধকারে রোজ
তরুণ কবিকে লিখে রাখে চন্দ্রাহত
. প্রতিবাস্তব কবিতা।
সূর্যমুখী
কাল দেখেছি সূর্যমুখী পাতার নিচে উঁকি
ভেবেছিলাম সন্ধ্যা হলে আমিও না হয় ঢুকি
পাতার বনে মৌমাছিদের সঙ্গী হতে গিয়ে
ডানা ছাড়াই গতরখানি দিচ্ছিলাম উড়িয়ে…
সূর্যমুখী ঢাকছো তুমি সবুজ আবরণে
লেম্বু আঁড়াখেতের কথা তখন পড়ে মনে
ঘন-সবুজ লেম্বুতলায় কাটার বিড়ম্বণা
সূর্যমুখী ছুঁতে গেলেই কালনাগিনীর ফণা।
মেঘের নিচে জ্যোৎস্না লুকায় বিষণ্ন আসমান
পাতা সরাও নেবো আমি সূর্যমুখীর ঘ্রাণ।
ম্যানহাটানে হেমন্ত এসেছে
কী মিষ্টি রোদ এ ঘন-ম্যানহাটানে
জামার কলার ধরে টানে, কে আমাকে?
টুপ-টাপ ঝরে পড়া হলুদ পাতারা ডাকে, শব্দহীন।
বৃক্ষেরা বার্ধক্যে এতটা রঙিন! দুপুরের রোদ
হঠাৎ গড়ে তোলে মিষ্টি বিরোধ, অযথাই…
ইতস্তত হাঁটি, পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই, বিকেলের কাছে
পার্কের নির্জন গহনে কী খুঁজি, কেউ কী দাঁড়িয়ে আছে, অদূরে?
পথ থেকে পথে, আবার পথের বাঁক ঘুরে, ফিরে আসি।
এ-দূর ভূগোলে বোনা জীবন কতটুকু ভালোবাসি, কতটুকু?