ঘুড়ি ও তার খোয়াবনামা
ঘুড়িটা মৃত পাখির ডানায় আটকে যাওয়া খোয়াব।
ক্রমশ তার দিকে এগিয়ে আসে নীরবতা,
নীরবতা তোমাকে ভাঙে,
তিনি শব্দ হারান এবং
আমাদের নিয়ে আসেন গভীর জলের কাছে।
আমরা পান করি মৃত্যু।
আমরা পান করি জীবন।
মূলত আমরা পরস্পরের চোখে আয়না দেখি,
আয়নায় বাসযোগ্য পৃথিবী আর জলের প্রার্থনা।
মেঘের ডাক শুনুক পৃথিবী
হাঁটতে হাঁটতে পার হয়ে গেছি নিজের ছায়া,
রোদ আনতে গিয়ে জলপতনের শব্দ নিয়ে ফিরি।
স্নানঘরের সাবানে, দেয়ালে তোমার নাম,
জানালার গল্প ঠোঁটে নিয়ে এইমাত্র চৌকাঠ ডিঙালো হাওয়া।
বাইরে যতটা আকাশ তোমার আঙুলে দশগুণ।
পথ খুলে দাও,
বুকের চাতালে মেঘের ডাক শুনুক পৃথিবী।
সবুজ ফড়িং ও স্মৃতির উঠোন
বিনা প্রয়োজনে হাসছে ঘরের আসবাব।
আলনায় দীর্ঘশ্বাস নিয়ে উড়তে থাকে সবুজ ফড়িং।
তুমি সেই সবুজের ভেতর মুগ্ধ গলিপথ,
আমাকে হাঁটতে শেখাও মরীচি বরাবর
অতপর ফিরে আসো সময়ের খোসায়!
যখন চিত্রিত হয় তোমার অনুপস্থিতি
এবং আমার অস্থির হৃদস্পন্দন,
ফিরে দেখি পাথর হয়ে গেছে সময়।
আর আমি পান করি শূন্যতা।
আমাকে ডেকে পাঠায় না কেউ,
কেউ জানতে চায় না—
‘একটি ফাগুন কী করে ঘুমিয়ে পার করে দেয় বসন্ত?’