মায়ার খোয়াব
আমাকে চেয়েছে অনেক,
না পাওয়া আমারও অনেক
মোড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের ধ্বনি
অচেনা লাশের আর্তনাদ সেও
আমি শুনি;
বেহিসাবি জীবন তবু হিসাবেই পিছুটান!
আমার ছিল হারানোর কথা, ভোলারও ছিল কিছু ব্যথা।
না ভোলাই রয়ে যাওয়া সব
তবুও রয়ে যায় শুধু রহস্যময় মায়ার খোয়াব!
অক্টোপাসে বন্দি জীবন
চলে না যাওয়ার কথা, কথা না রেখে চলে যায়!
অথচ চুমুতে চুমুতে বেমালুম গলে যায় অপরাহ্নের শরীর
আর আঙুল হাতড়ে ছুঁতে পারে না লোমশ বুকের গহীনতা
স্পর্শের অনুভবে আন্দোলিত মন দৃষ্টিকে অন্ধ ভাবে
মিথ্যে দর্পণের কোথাও জমাট চিহ্ন নেই!
ইচ্ছেরা থমকে আছে
সস্তা জ্ঞানে ফেরার রাস্তা নেই।
বেহিসাবী সময়েরা কেবলি ধোঁয়াশায় ঘেরা;
পুষ্পস্পর্শের সজীবতায় প্রাণবন্ত সবুজ
ধূসর চোরাবালি!
অক্টোপাসে বন্দি জীবনের স্বপ্নে বসত,
সন্ন্যাস মেঘবালিকার
শরীরজুড়ে জানান দেয় অজানা ‘অসুখ’
ভালোবেসে তার নাম দিয়েছি ‘প্রেমাসুখ’।
বিভোরিত সায়াহ্ন
নিশিরাতে বেলকুনির বাতাসের স্পর্শ জানিয়ে যায় শরীরজুড়ে বহমান আমাদের মহাকালের প্রেমের মগ্নতা।
কখনো কাঁক ডাকা মধ্যরাতে, মেপে নেওয়া যায় বিষণ্ন অতীত কতটা মায়ানদী কেটেছে! অথবা কতটা পবিত্র ছোঁয়ার ধিক্কারে অপরাজিতা গাঢ় নীলে অপরূপ দোদুল্যমান। ভোরের আবছায়া প্রতিচ্ছবি এঁকে দেয় আগামী চিতার ধোঁয়ায় বিশুদ্ধ প্রণয়ের; স্নিগ্ধ সকালে প্রেমিকের চুমু কুড়াতে গিয়ে ফিরে আসি পথের ক্লান্তি নিয়ে, ক্লান্তি উড়ে যায় ইনডোর সবুজে—
বিভোরিত সায়াহ্নে—যাবতীয় প্রেমর বীজ লেপটে থাকে মগজে।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত নবীনের কবিতা