কামুক শামুক
যেকোনো নতুন প্রেমিকার কাছে গেলে
দোঁআশলা গন্ধ পাবে
যেন পাকা পেঁপের মতন ফালি ফালি
প্রাক্তন আহার।
তুমি পৌঁছোবার আগেই অন্য কেউ…
তা শুকানোর আগেই
দাগের পূর্বাভাস মিলে যাবে
দেখবে বয়স কমবার সাথে সাথে
শারীরিক অঙ্গগুলো শাসাবে তোমায়
অবাধ্য শরীর..
কামনার বনে তারা ঢেলে দেবে
কামুক শামুক
মায়ামাছ- ০৩
দুপুরের প্লেটে মায়া মাছের সাঁতার। সাঁতার মানে ভেসে থাকা নয়। অস্থির জনপদ। গা বাঁচিয়ে হাঁটা। অন্ধ সময়ের পিছু ছুটছে যে নষ্টঝিনুক তাকে তুমি কি নামে ডাকো? ভুলে থাকো গণিতের খাতা? চলো এখন আঁকা যাক চারুকারুকলা!
হাসান, হেলাল তোমরা কোন দশকের কবি..?
ঐ তো আবুল হাসান
তার পিছে পিছে গুণ
ছুটে পালাচ্ছে ওরা।
একটা চিপা গলির মুখে ঢুকতে গিয়েই
শঙ্খচূড়ের মুখোমুখি!
আমি হাসতে হাসতে গুণকে জড়িয়ে ধরি
ওদের কা- দেখে দূরে রোদের
মতোন ছড়িয়ে পড়ে হেলাল হাফিজ
মুচকি হেসে সে চলে যায় অন্য পথে
যেখানে জোনাক-পাখি জ্বলে জ্বলে
জলে আগুন ধরায়।
পিছনে আমাদের কারো খেয়াল ছিলো না
বেচারা সিঙ্গাড়াওয়ালা হাপাতে হাপাতে
আমাদের পিছে গিয়ে হাজির।
আমরা একত্রে দৌঁড়াতে শুরু করি
হাসানের সাথে কেউ পেরে উঠি না
সে যেন সবার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে
গুণ বরাবর মাঝারি
রাজনীতি তাকে ঘিরে ধরে
তার ঢিলেঢালা পান্জাবি ধরে টানে গণবন্ধুরা
তিনি মাটিতে বসে পড়েন।
আমি আর শঙ্খ নাছোড়বান্দা
হাসানকে ধরতে গিয়ে
উঠে আসলাম বিজয় স্মরণীর হাইওয়ে
আমাদের একটাই ল্য কবিতাকে পাওয়া
হাসান ধরে ফেলেছে
গুণ কাড়াকাড়ি করে দখলে নিলো কিছুটা
আমাকে ডাক দেয় অদ্বিতীয়!