প্রকৃতি নিয়ম বোঝে, মানুষ বোঝে দৃশ্য
প্রকৃতি নিয়ম বোঝে, মানুষ বোঝে দৃশ্য
চোখে দূষিত রঙ, কী যে হুলস্থুল কাণ্ড
কৌতুক ও বিস্ময়ে শঙ্কাহীন পথ
সেও রাহুগ্রাসে ঝুলিয়ে দেয় উলঙ্গ কুকুরের শব
মাথার ওপরে জ্যোৎস্না, আশপাশে
ছাতিমের ঘ্রাণ, কবে শোনা ছাতিয়ানগ্রাম—
অপ্রকাশ্য নীল খাম, লেখা ছিল—
ভালোবাসার তুক-তাক
কী আশ্চর্যভাবে— পুরনো শোক প্রদীপ
আলো ফেলে প্রতিবন্ধী দৃষ্টিতে।
খুব পাশে দাঁড়িয়ে স্বপ্নতাড়িত ঘুমে
রেখে যায় অনুভূতির গোপন সংক্রমণ।
মানুষ দৃশ্য বোঝে, প্রকৃতি বোঝে না।
সময়কে উপভোগ করার মতো
সময়কে উপভোগ করার মতো উপাদেয়
রূপকথা কেউ জানে না। শুধু যে ছায়াগুলো
বারবার কৃপাপ্রার্থী—স্বেচ্ছায় নির্বাসন থেকে
অজানা পরিচয়ে রৌদ্র আড়াল করে দাঁড়ায়—
নিরাকার ছবিগুলো আটকে দিতে থাকে আঙুলের
ঘনিষ্ঠতায় দেয়ালে-দেয়ালে।
সমাদর নেই, তবু যখন নীলাকাশ থেকে ঝরে
পড়তে থাকে ইস্পাহানি গোলাপের ঘ্রাণ
নিয়ন্ত্রিত সন্ধ্যাগুলো গুপ্তপুঁথির মতো করুণ আর
দুর্লভ হয়ে উঠতে থাকে—তখন নির্বিকার থাকা
অসম্ভব জেনেই আমি তৈরি হতে থাকি মত্ততা
নিয়ে আরোহন ও আবিষ্কারে।
দূরত্ব ঘোচে না কখনো
দূরত্ব ঘোচে না কখনো, দূরের ওই চাঁদটার মতো
এত স্পষ্ট, তীব্র আলিঙ্গনে কেঁপে উঠছে—
শিহরণে থরথর। পরস্পরের গাঢ় ভাপে ভিজে
ওঠা চোখের আদ্রতায় ম্লান হয়ে উঠছে কুয়াশার
সারি। দূরের কথা থাক, যে তীব্র আলিঙ্গনে
আমরা জড়িয়ে ধরেছি—স্বপ্নবিন্দুর মতো মনে
হয়। রূপকথা? পরাবাস্তব স্বপ্ন? এত স্পষ্ট হয়?
সারারাত ঘুমকে তাড়িয়ে—ছড়ানো রাত্রিকে
পাঠ করতে করতে যখন বাস্তবতার মুখোমুখি—
আবেগে থরথর কাঁপছে ঠোঁট, যে অবিচ্ছেদ্য দুয়ার
সম্মিলিত ব্যর্থতার ভার বইতে ক্লান্ত—বহুদিন
খুঁজছিল নড়বড়ে হলেও কোনো হাওয়া খুলে দিক
গুমোট পোশাক। উত্তেজনায় খণ্ড খণ্ড হতে হতে—
যখন বইতে শুরু করেছি—যখন কাঁপতে শুরু
করেছি শিহরণময় সন্ধ্যায়। তখন—
একটি মুমূর্ষু চিৎকার জানিয়ে দেয় দূরত্ব হলো যন্ত্রে
তৈরি একনায়ক—ছিঁড়ে যায়, স্পর্শে ভুলভাল ডাকে,
কিন্তু ঘোচে না কখনো।