পৃথিবীতে এখন আর খুব বেশি কোলাহল নেই!
উহানের ভাইরাসে মৃত্যুর মিছিলে পৃথিবীর মানুষেরা
দিশেহারা অসহায় হয়ে
জেগে আছে লগডাউনে নৈরাজ্যের দিকে হেঁটে যাচ্ছি আমরা
করোনার করাল থাবা থেকে রেহাই মিলছে না
পুরোহিত কিংবা সাধু সন্ন্যাসীর।
কোনো অজুহাত মানছে না করোনা
তাঁর কোনো প্রেম প্রীতি নেই
সে অণুজীব,
তারও জীবন আছে
যে জীবনের কাছে তুচ্ছ সব মামুলি।
মেরিকা, ইংল্যান্ড কিংবা জার্মানির বার্লিনে নয়
শহরে শহরে শুধু লাশবাহী গাড়ির মহরা
আর সব নীরব, নিস্তব্ধ।
পৃথিবীতে এখন আর খুব বেশি কোলাহল নেই!
মানুষ শিকার করে মানুষ
মানুষ ক্রমশ মানুষ থেকে দূরে চলে যাচ্ছে
সে তার আদিম বন্য স্বভাব এখনো ভোলেনি,
ভোলেনি নৈরাজ্য নৈরাজ্য খেলা।
তাদের মুক্তবোধ বলে কিছু নেই
পৃথিবী আরো আধুনিক হলেও
আধুনিক শব্দটার মানে জানবে না তারা,
তারা এখনো বন্য,
মধ্যযুগীয় বর্বর।
তারা আমাকে হৃদয়ের ক্রসফায়ারে
ছিন্নভিন্ন করে উল্লাসিত হতেও
দ্বিধাবোধ করবে না এতটুকু।
যুদ্ধবাজ-লুটেরা কোনো দিন সভ্য ছিল না
সভ্য ছিল না তাদের পিতারাও।
তাদের পূর্বপুরুষ আদিম জন্তুজানোয়ার শিকার
করে উল্লাসিত হতো আর এখন তারা
প্রকাশ্যসভায় মানুষ শিকার করে।
তাই আমিও সীমালঙ্ঘন করতে করতে
বহুবার ভুলেছি আমারে, ডুবে গেছি মহামায়ায়।
প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার বিপরীতে
দাঁড়িয়ে থেকে কেবল হেঁটে গেছি
সীমাহীন পথরেখায়, আবারও দাঁড়াবো।
আজ চৈত্রের জোছনা রাতে….
আজ চৈত্রের জোছনা রাতে
রাস্তায় একটি কুকুরও চোখে পড়লো না
চোখে পড়লো না কোনো উঠতি মানব-মানবীকে
যেন পৃথিবীর সবক’টা দরজা জানালা বন্ধ।
কেবল গলির ভেতর থেকে শুনা যাচ্ছে অসহায়ত্বের হাহাকার
তুমুল চেঁচামেচি, চিৎকার।
রাস্তার মোড়ে, পার্কের বেঞ্চিতে
হসপিটালের ব্যাডে ব্যাডে
শুধু মানুষ মরে পড়ে আছে।
সন্তানের দুধের জন্য এক মা তার
মাথার চুল বিক্রি করে দিতেও
দ্বিধাবোধ করলো না এতটুকু।
মানুষের সাথে মানুষের দূরত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছে,
এখন আর মানুষেরা মানুষের লাশ কাঁধে নিচ্ছে না।
এই আকালে তুমি কেমন আছ
প্রিয়তমা আমার।
মনে আছে সেই কবে চলে গেলে
আজ চৈত্রের জোছনা রাতে
তোমার মতো যদি এই বিষও
চলে যেতো পৃথিবী থেকে।
তাও ভালো হতো….