একটা কাল নাগিনী ছিমছাম শরীর বিছিয়ে
শুয়ে আছে হাইবারনেশনে। মাথার ভেতর।
পাঁজরে। হাড়ে। হৃদপিণ্ডের ভেতর।
অতবড় লালটিপ আমার কপালে সয় না
ওখানে শুধু কালনাগিনীর শিরশিরে কাঁপন অনুভব।
অত বড় আংটির জটিল গেরো আমার আঙুলে সয় না
ওখানে পেঁচিয়ে থাকে এক নাগিন।
অত মনিমাণিক্য হার আমার গলায় সয় না
সারস গ্রীবার নাকমুখ ডুবিযে চুমু খায় এক কালসাপ।
তারপর শরীর বেয়ে ধীরে ধীরে নেমে যায় পা অবধি।
ব্যাপারটা ঠিক এমন যে
মাথা থেকে একটা পাইথন বুঝি তার সুদীর্ঘ শরীর দিয়ে
পেঁচিয়ে ধরেছে আনখ। যেমন করে আমাজানের জঙ্গলে
সুউচ্চা লম্বা গাছ জড়িয়ে ধরে বনসাপ আর ধীরে ধীরে
ঘুমিয়ে পড়ে। আমি যেন সেই প্রাচীন বৃক্ষ। সাপটি আমার বন্ধু।
সে আমার ছায়ায় বাস করে। ঘুমায়। আগলে রাখে
যাবতীয় হিংস্রতা।
কালনাগিনী জানে, কোন বিষে নীল হয়ে গেছি।
সে জানে আমি সত্যিই একদিন মানুষের খোলস ভেঙে
সাপ হয়ে বেরিয়ে আসব।
ছোবল দেব কি না—সেটা অবশ্য সময়সাপেক্ষ!