নিরাকার
আমি যার প্রেমে পড়ি—
তার আছে ফলের দোকান
যে আমার প্রেমে পড়েছিল—
তিনি এক মাংসের দোকানী
আমাদের ভালোবাসার যিনি মালিক—
তার আছে পাখির আড়ৎ
খাঁচার স্কুলে ভর্তি হচ্ছে পালক!
দয়াল আমায় দিও না তুমি ফেরত।
ঈর্ষা নবির মা
মহুয়া কলঙ্ক চেয়েছিল, বুঝি প্রেম তার মেয়ে
পরম চিবুকে ঝুকে খুঁজেছিলো আপনার ছায়া
বলতো আমাকে কানে কানে আমি হবো যিশুর মা
তুমি হবে দৃশ্যহীন বীর্ষের মৌমাছি ঈর্ষা নবির পিতা!
আমাকে বলতো আরো, রীতিনীতি আরো যত দায়
ভেঙে কেন ফেলব না নাটকের মহড়ার তাবৎ স্বভাব
তুড়ি মেরে ওড়াব তো মন আর শরীরের প্রাণ
বলবে লোকেরা ঝরাফুল মিটিমিটি খসাব তারা
ফলের আলেখ্যে ডুবে প্রভু আদি তার দরজায়
হবো মাতা তার, ক্রুশে যে ছেলে পেতে দিতে পারে একক মাথা
নিজের কথায় যার মনে নেই হব তার উত্তর সাধক
বিলাবো আখের সব হিসাবের যতসব ক্ষত
মহুয়ার ভেলা
কোনো শব্দে তোমাকে বন্দি করা গেলো না
এত সামান্য করে কখনো ভাবিনি আমি
স্বপ্নে বেহুলার ভাসানে চিৎ হয়ে শুয়ে আসো তুমি
কপাল গুণে হয়েছি আমি লখিন্দর!
পৃথিবীর চাদর থেকে তোমাকে বেছে বেছে নেই
সমস্ত শরীরে যেন তুমি একফোঁটা তিল!
যার লালিমা শোভায় জেগে ওঠে ঘুমন্ত শিবির।