কলমের আঁচড়
হৃদয়ে কলমের দাগ লেগে আছে তার
চোখের বুননে হারানো জল।
স্কুল বালিকার কলমের আঁচড়
উড়ে গেছে যতবার
ততবার খুন হওয়া মাছের মতন
ছটফট করা বাঁদুড় ফিরে গেছে জানালায়।
প্রেম কিছু নয়
ভালোবাসা দীর্ঘ বিশ্বাস, দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস
যা নিয়ে প্রতিটা বছর বৈশাখ আসে
আবার চলেও যায়, না বলে
একটি খাম ছেড়া কাগজও রূপান্তরিত
রাখিনি অবশিষ্ট,
হ্যাঁ, এভাবেই বদলে যায় সবাই,
যেভাবে বদলায় গোল্ডফিল পাখির পালক
ঋতু বদলের সাথে সাথে।
সে ভাবেই জন্ম নেই বুকে—অদ্ভুত সব ক্ষত।
তৃষ্ণা
বুকের খাঁচায় নেপথলিনের ঘ্রাণ ছড়ানো প্রেমিক
বাঁকিয়ে উঠছে ক্রমাগত পিপাসায়।
আর আমি দুরন্ত ষাঁড়ের বেগ অনুভূত
শরীরের আর মননের অবাধ্য বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ
জানিয়ে বেড়াচ্ছি ঘাসবনে।
এত সব বাধ্যবাধকতার ভিড়ে
কেন যে বংশীবাদকের সুর ওঠে, বুঝি না
আরও বুঝি না শূন্য পথের বেহায়া কাহিনি।
তাই বাধ্য করতে পারি না মননের আলুথালু বৃষ্টি।
তৃষ্ণার জ্বালায়
পৃথিবী বিষাদময়
তবুও অবুঝ চাতক হয়ে মেঘের আশায়
চেয়ে থাকা ঠোঁট অন্য জল ছোঁয় না।
অপেক্ষা জন্ম দেয় জলাতঙ্কের
উড়ে আসা এক ঝাঁক কালো ধোঁয়া
ফিরে যায় সমস্ত সমাপ্তি বনে
পরম অশান্তিময় শান্তিতে।
মন
শুনছ আমাকে?
না; জাদু-টোনার ঘোরে মোহগ্রস্ত নিশ্চয়।
শুনবে না জানি, তবুও আগুন বাতাস
আর নিশুতি রাত কৌতূহলী করে।
শুনেছি মনের সাথে মন ছুঁইলে
কথাগুলো ছুঁয়ে যায় সংযোগ ছাড়াই
মন ছোঁয়া যে আকাশ ছোঁয়ার মতো
যতো কাছে যাই ততই দূরে সরে যায়
জীবন থেকে মহাজীবনে যেতে চাই মন ছুঁতে…