মনমোহিনী
মূর্ত যে হয়, বিমূর্ত সেই
বুকের ভেতর, পাশবালিশে
ফকির যেজন, সেই মহারাজ
আকুল হলো ভালোবেসে
খর চৈত্র যেমন আত্মভোলা
আগুনে তুমি টকটকে লাল
সকল বিষাদ খাক হয়ে যাক
মহাকালী তুমি আমি কাঙাল
রাঙাচরণ দাও মেলে দাও
সুরম্য তোমার ব্রহ্ম ভাব
মনসিজের মন মানে না
ধ্বংস করা প্রেমের স্বভাব
অচঞ্চলা তুমি, চঞ্চলতায়
মাতাল দেখো মহাকালও
অন্ধকারে ডুবলে সকল
তুমিই তো সে জাগ্রত আলো।
বাক্
যে দৃশ্যে তুমি মুছে যাও, সে দৃশ্য মনে পড়ে থাকে
এ শরীর নদী, জল বহুপ্রকারে ঝরে, বাঁধ কতোখানে দেবে
উপচায়ে ভেঙে যায় যমুনা, কূল বলে কিছু থাকে না
ভালোবেসে দেখো তুমি, ব্যথা কতো ভালো লাগে পরানে
ভয় করি ভক্তিতে। তোমার চরণ ছুঁয়ে, পড়ি তাই নুয়ে—
প্রেমলতা হয়ে সর্বাঙ্গে জড়াবো, বিস্তৃত হয়ো শাখা-প্রশাখায়
আমাদের কথা হবে মর্মমূলে, তুমি ফুটে উঠবে আকাঙ্ক্ষায়।
উড্ডীন
প্রেম এখানে প্রতিদিনই আসে
আমরা কেবল ধরতে পারিনে
ঠিক হাত ফসকে
চলে যায়
ভালোবাসা, বলবে তুমি কারে
ত্বকে তোমার কাদামাটি মাখা
মেখেটেখে ধুয়েও ফেলো পরে
যত্ন নেওয়া এমন সহজ
কে জানতো আগে
আদর করে অঙ্গ তোমার ধরি
দিচ্ছ আশা চিহ্নে চিহ্নে কতো
তোমার দূতি হয়ে চড়ুই, যেন
বাঁধতে এলো বাসা
তুমি লক্ষ্মীপাখি হইয়ো
আমরা সুখে সংসারে ভাসবো।