এগারো.
দূরত্ব এক উচ্চমার্গীয় রচনা—যেন সে উড়তেই ভালোবাসে। আদরের ভয়ে নুইয়ে থাকে পিত্তের পরিমাপে। সে রকম পাঠ থেকে আমি তোমার ভেতরে নুয়ে রসঢেঁকি খুঁজি। যেখানে বাদ্য বাজবেই শুধু—লজ্জারাঙা হয়ে উঠবে শত্রুতা শত্রুতা খেলা। তুমি মিহিঘ্রাণে ভেসে যাবে নিজস্ব পাহারায়; পাহাড়ে—পাহাড়ে। আমি ছুটব করাতের পালোয়ানে; মিছরি হাতে—ঘোর যোনিপথে। আগুনের তীব্রতা একবার অনুভব করো—ঘটিয়ে দেখো সঙ্গম সংলাপের উৎসব।
টমস্’র গ্রীবায় তোমার দরাজ বহু বেঁকে আছে; রাতের হাসি যেন—ঢেউে উঠিয়ে ফুরায় সন্ধ্যার পরিপাটিতে। এমন সরল হও, নাভি নীচের পথটুকু—বৃহৎ বৃক্ষের ধারণায় প্রবাহিত হতে থাকো। আমার চোখ চলে যাবে তোমার নিরপরাধ টোলের স্পর্শ নিতে। সেই মুঠির ওপরে;—আহারে…
মায়া কাটিয়ে যখন ফেরি হলো পার্বতীর গভীরতা—আমি স্থির। তোমার পায়ের সহোদর নিয়ে; রত্নের হিস্যায়। কোনাকুনি মমতায় লুটিয়ে যতো পাপ সেখানে দিনের সুখবর থাকে; অন্যায় রুইয়ে যায় পাশের বালিশে। আমার হাতে কেবল তুমি—এই ইস্টিশনে খুচরো বিপণি নেই।
স্নান হয়ে গেছে। বহু মুখ তাকিয়ে আছে; আমি থেমে আছি পর্দার কোলাজে। কাছাকাছি যাপনের ফুটপাতে ভাগাভাগি হচ্ছে জীবনের বিষ! আরও কত পথ হলে খরচ হবে তুমি! আমি পথের আলোয় গন্তব্য চিনে প্রবাহিত হবো দৃঢ়, পরিণত। দূরত্ব উঠে যাচ্ছে দেয়ালের অক্ষরে, বন্দরে।
ভালোবাসা হারছে কত!
বারো.
কাটা হাতের দিকে তাকিয়ে মনে হলো—তুমি জয়ের কাছাকাছি চলে এসেছো। এখনকার এই যুদ্ধ বিরতি কেবলই আমার মন্দ বিহারের পরিচ্ছন্ন প্রকাশ! অভারের কাঁটাতারে ঝুলে থাকা সপ্তাহের রোজগার থেকে অর্ধেক বমি বাসি রাখো; বাকিটা তুফান। আমাদের হাততালি খুউব জমেছে এবার। তোমার কপাটে ইঁদুর তুমুল—নেচেছে কাবু; আমিও হতে পারি দুঃখ।
রাখালের লেবাসে কামানের ছাপ দেখেছো—উতড়ে যা যাদু! সে জানে পশুর পশম থেকে কৃত্রিম ভয়ের পদ্য; কিভাবে ঘুড়ি হয়ে উড়ে যায়—ঢেঁকুর ওঠা যুবতির ওড়নায়। তার কাছে সোহাগের পরিক্রমা কোনো বাক্যেই যুবতি হয়ে উঠতে পারে না। কিশোরী সিঁড়ির মুখে দাঁড়িয়ে ডাকে রাধা নাকের ঘ্রাণ।
অপূর্ব সেই পিতা হত্যার ঘ্রাণ। ময়ূরের গণ্ডিতে শকুনের বাহাস—
কত যুগ রোদ ওঠে না এশিয়ার নাভিতে; অষ্টাদশী ধুয়ে রেখেছে পেটের কিনারা—কেবল তুফানের ভোট নিবে বলে! তুমি এবার ঘর শানাও—আমি পরাজিত হচ্ছি। প্রত্যেক রবিবার জনতার হাটে বিক্রি হবো। ঘরে ঘরে মেখে যাবো মানুষের ওমে। ধরে রাখো, এই সিদ্ধির গড়ে সঙ্গমের যে সব ছায়ারা খুলে আছে—সকাল; তাদের কবুল বলাও। মিথ্যের চুমুতে আমরা গচ্ছিত হবো—সংবাদের ডালে ডালে।
এবং মাঠের নূপুরে যাবতিয় সুখের মুগ্ধতা এখন। নিম্নাঙ্গের অসুখে পিছু ছাড়ছে না প্রভু। বণিতা বানাও—তবু শোক খেয়ে হজম হতে চাই কাবিলের মর্দে। এই কাঁটা হাতে ঘোড়ার বসন্ত নিয়ে ঘুমাচ্ছি যখন—তুমিও সালতানাত ঘোষণা করো। হে অঘ্যের জমিদার!
তেরো.
উবু হয়ে যাচ্ছি। আরও কত উবু হবো—নিরস্ত্র নাড়ির পিদিমে। মর্দ ভূগোলে আমার আর কত লিপ্সা উচ্ছেদ করবে তোমরা? হিতাহিত ক্ষতের দাঁতে দাঁত চেপে নগ্ন হচ্ছি। হয়েই যাচ্ছি। আড়ালেও ছুরিতে কেটে যাচ্ছি; গত মুগ্ধতা নিয়ে বেতালবিংশতিতে পুনর্মুদ্রণ হচ্ছি আহোরাত্রি।
তোমার দু’ পায়ের মধ্যছিদ্রে সন্ত্রাস হচ্ছে। তুমিও শানদার ছুরির ঢঙে ঘোষিত হও। পাপ রক্তের মতোন প্রবাহিত হও পত্রিতার ক্লাসে। যেখানে মূল্যহীন পরিমাপ করে নকশার কোলাজ। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছ কেতাবের ফসফরাসে; আরও হও—কার্তিকের ভেদরে। বিমোহিত উষ্মার নখে ঘুমিয়ে যাওয়া শঙ্কা তোমার উরুদেশে বাসা বেঁধেছে আবার। এ পথে ফেরার রাতে খড়মের ত্যালতেলে ছুরতে ঘুম মেখে নিও। সুতি যাত্রায় তোমার নিমন্ত্রণ।
নিজতালে নেচে গেয়ে নতুন আরশি শানাবে আবার। এখানে কন্ডমের ছাউনী দেখে তোমার ঘোর কেটে যাবে। ফেলানীর বউভাতে তোমাকে আবার বেহাত বৃত্তে গৌরবের ভৃত্য খেলা করবে না। আঘোর যৌন তৃষ্ণায় তিস্তার কবিতা দখল হলে তোমার নিদ্রা বিঘ্নিত হবে আবার। তুমি জাগবে না। মিছরির গভীরে প্রবাহিত হবে উঠতি যুবকের ঠাপের মতোন। যেন বৃদ্ধ আঙুল তোমার রতিছন্দে বিস্মিত হয়।
উবু হতে হতে পিঠের বালিশে হারিয়ে ফেলেছি গন্তব্যের অন্তরা। বিপুল বিনোদনে আমার অস্থির গ্রহে কোনো ফন্দি নেই; যেখানে গত হওয়া বীর্য ডেকে নতুন ইশকুল খুলতে পারি। পানির উহ্য আচরণে জলের ভাউচারে খরচ হয়ে যেতে পারি মধ্যবিত্তের দরাজ সুনামে।
তুমি আরো টানটান হও; তোমার কাতর সোকেসে চোখ সাজিয়ে অন্ধ হয়ে যেতে পারি। ভ্রমনের পতাকায় কুটুমের ফর্সা দ্রবণে উবু হতে পারি আরও! ফলে যেতে পারি ঘ্রাণের পায়ে পায়ে মাঠের বিবাহ ভোজে।