ভাত
কেউ গাইতে চাইছে রবীন্দ্রনাথের গান, কেউ নৃত্যের তালে
হাঁটতে গিয়ে বিড়ালের ঈর্ষা কুড়াচ্ছেন; কেউ গলা ভর্তি
কাঁচ নিয়ে গার্গল করছে, ওজন নিচ্ছেন কেউ কেউ
বীজগণিতের বারোটি সূত্রের। আমি ভোটের আগে মুছে দিচ্ছি
সমস্ত প্রতীক, বিনিময়ে লিখে রাখছি—ভাত ভাত ভাত
হৃদয়
হৃদয়ে কাছ দিয়ে বেঁকে গেছে নদী, যার থেকে চায়ের ঘ্রাণ থেকে থেকে আসছে।
সেইখানে বসে আছ নিবিড় পদ্যমতোন। কী করে ভুলে যাবো, বলো—
আমার দিকেই তাক করা মিসাইল, ভ্রূকুটি এবং রক্তদানের স্মৃতি
কী করে ভুলি! এবং কী করে বলি, এ সময় প্রেম পণ্য হতে পারে,
তাতে অমঙ্গল নেই, নিন্দাও নেই।
যারা ক্ষুধার্ত, আমাদের মতো নয়, তারাই যুদ্ধে নামুক।
তাদের জন্য ঝকঝকে অস্ত্রাগার অপেক্ষা করছে।
লোলুপ চাপাতিগুলো কিংবা সেই তীব্র বুলেট—
তুমি আলাদা করে আমাকে ও তোমাকে চেনাতে পারবে?
বড়জোর একদশক, এর বেশি নয়, খুব দীর্ঘ নয়—এ প্রলাপের শুরু
আমাদের ঐক্য প্রচেষ্টার ভঙ্গি থেকে লাইন ভেঙে চলে যায় পিঁপড়ের দল
আমাদের হাতে কি-বোর্ড, সংগ্রামী আঙুলগুলো ব্যথায় নীল—
তার কাছে গেলে
তার কাছে গেলে হিজলের ঘ্রাণ পাই—
রাত্রির শঙ্কায় নেমে আসে আদুরে বেড়াল
তার কাছে গিয়ে রোমহর্ষক গল্পেরা
জড়াজড়ি করে বসে থাকে ফর্মায় ফর্মায়
আর সে বিকেলের অবসরে খুলে দেয় বিস্তীর্ণ চুল
রক্তরঙিন সেই শয্যার ভঙ্গিমা।
সেইদিকে চেয়ে অবিকল চুপ হয়ে থাকি
যেন কিছুই হয়নি—কোথাও ফোটেনি একটিও ফুল, একটিও বোমা
যেন মানুষের ভিড় থেকে হারিয়ে যায়নি হাতঘড়ি
অথবা কোথাও চলে যায়নি বিহঙ্গকুল।
সে এসে বসলে কাছে মনে হয় আলাপের কোনো শেষ নেই
খুলে দিলে সব বৈভব মনে হয় স্বয়ম্ভু সে—
চরাচরে কেউ নেই
কোনো জেনোসাইড নেই
সবই মৃদু মৃদু চুমু, মৃদুহাস্য তার।