একদিন মানুষের জন্য
সমস্ত সড়ককে বলব, থামো। সমস্ত পাতাকে বলব,
বিলিয়ে দাও তোমাদের সবুজ। কোনো চিহ্ন না রেখেই
যে চিল বিরহী সমুদ্রে ছোঁ মেরেছিল—তাকে বলব
দুঃখগুলো মাটিকে বুঝিয়ে দাও। আর যারা অর্ধাহারে
এখনো পার করে রাতের উপবাসকাল—
তাদের জন্য এক থালা আউশ চালের ভাত রেঁধে দেব
নিজ হাতে। চাঁদের চুলোয়, বাঁশের ছায়ায়।
তোমরা যারা অবশিষ্ট খাদ্য নিক্ষেপ করছ সমুদ্রে,
হাওয়াকে বলব, তোমাদের হাতকড়া পরাতে।
ক্ষেতের তরমুজ জ্বালিয়ে দিয়ে, যারা বানিয়েছিলে ভস্ম—
তাদের গায়ে মাখিয়ে দেব সেই ছাই।
এবং যারা হত্যাকারী, যারা কঙ্কাল দিয়ে বাজায় সানাই।
ব্লাডব্যারিকেড
ঢেউগুলো বয়ে যাচ্ছে। রক্তের। রহস্যের। রাগের।
কিছু হীনমন্য কিছুই দেখছে না। কিছু পামর—
গ্রামে গ্রামে বিক্রি করছে মৌলবাদ। এবং
শহরেও, খাবি খাচ্ছে— মানুষের উত্থান দেখে।
খুশি হচ্ছে মানুষের পতনে। যারা এই নাগরিক
ব্লাডব্যারিকেড ভাঙবে বলে পথে নেমেছিল,
তারা এখনো দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে ছিল।
সূর্য ভাঙছে। নক্ষত্র ভাঙছে। নন্দনতত্ত্ব ভাঙছে।
ভেঙে গড়ার আশায় যারা জলে নেমেছিল, শুধু
তারাই দেখছে এখো ভিজেনি তাদের পদযুগল।
পাইথন ও পেরেক
পথে পথে শুয়ে আছে পাইথন।কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে আছে
পেরেক হাতে। জলের প্যারাডাইম ভেঙে দাঁড়াতে চাইছে যারা
কেউ তাদের থামতে বলছে। বরফের মতো স্তূপাকারে
দাঁড়িয়ে আছে ট্রাফিক লাইট; লাল রঙ ধারণ করে।
‘যে নগরে ভ্রূণ হত্যা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়, সেখানে বীজ
খুঁজে পায় না মাটির তলদেশ। যে ভূমিতে নির্বিচারে পাখি
হত্যা চলে—সেখানে মানুষ ভুলে যায় ওড়ার কৌশল।’
…কথাগুলো বলতে বলতে একজন মাটিবিদ, আবারও নিরীক্ষণ
করছেন বিদ্যুতের গতি। আর ভাবছেন—
এই আকাশ নিশ্চয়ই একদিন মনে রাখবে না, ঝড়ো হাওয়ার
বিশদ বিবরণ একদিন মানুষের কাছে ভালোবাসা ধার চেয়েছিল!