মনে রেখো
একদিন হয়তো পৃথিবীতে আবার আশ্চর্য সুন্দর জোছনা নামবে—তোমার গলার চারপাশে লকেটসহ ঝুলে থাকবে মালার মতো কয়েকটি আদর। নোনা বাদামের মতো একদিন জিহ্বা প্লাবিত করবে লালা—বুকের উপত্যকায় ফুটবে দুর্দান্ত প্রজাতির অর্কিড। একদিন হয়তো প্রশান্ত মহাসাগরে স্তব্দ হয়ে যাবে ঊর্মিমালিকা—তোমার বাহুর বৃন্তে ফুটবে কবিতার কবি। এ জনমে কি ওই জনমে লুডুর গুঁটিগুলো এসে শুয়ে পড়বে আদুরে বুকবালিশে—চন্দ্র ও সূর্যের চিরায়ত ব্যবধান এসে বিলুপ্ত হয়ে যাবে শূন্যের অভ্যন্তরে।
এইসব কোলাহল হলাহল থামিয়ে অবিচল বাজুমল বাজিয়ে দেবে দাদরার উত্তরাধুনিক প্রকরণ—রাধা তুমি অতঃপর সেইদিন শুধুই শ্যামের।
আরতিনৃত্যে
পাকাকরলার বীচির মতো লাল হয়ে এসেছে অভিমানী মেকুর
মনে হয় তপ্ত বালির ওপর ফেটে পড়বে কাঁকর
যেকোনো সময় একযোগে বেজে উঠবে বাজনা
একটি টিকটিকির চারপাশে বিষ পিঁপড়ের অবস্থান ধর্মঘট
পেশীবাজ আরশোলাগুলো ডিগবাজি খাচ্ছে খুব
শুভ্রওয়াইনের গ্লাসে ডুবে যাচ্ছে লাল কাতরতা
এক্ষুনি চলো তবে বুকে বুক রেখে দুলে উঠি আরতিনৃত্যে ।
বেশুমার ল্যাক্সাটেনিল
তখন এমন ছিল না সময়—
বলব বলব কথাটি কোনোদিন তাই হয়নি বলা
আলজিভের তলায় আড়ালেই মমি হয়ে গেছে
বেদনার পৃষ্ঠাগুলো মণ্ডদলা হয়ে
লুকিয়ে পড়েছে ডুলির ভেতর
ডাকপিয়নের অপরাহ্নখচিত খাকি ব্যাগে
হয়তো সেই কথাগুলো তুমি পাঠিয়েছিলে
টাকা দিয়ে অন্য কেউ হাতড়ে নিয়েছে অগোচরে
‘ভুল না আমায়’ এখন ‘ভুলেছি তোমায়’
‘চিঠি দিও’ এখন ‘মোবাইল করি না’ আর
সবুজ সময় লালাভ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পেরিয়ে গেছে
হলুদ নগরী—রক্তাক্ত সময় ফুটো করে দিয়েছে
পিচকালো বুলেট—লোডশেডিংয়ের রাত
থ্রি-কোয়ার্টার ট্রাউজার পরে শুয়ে পড়েছে আলো নিবিয়ে
সময় এখন বিদঘুটে অন্ধকার—বেশুমার ল্যাক্সাটেনিল