এই যে বৃষ্টি
এই যে বৃষ্টি, তার ডানা বাতাসে উড়িয়ে
হঠাৎ প্রবল ঝড় হয়ে ভেসে যায়
সেখানে জলকণা আর পাখির কিচিরমিচিরের
মাঝে ধ্যানস্থ না হলে কে বলতে পারবে
আগুন আর রক্তের পার্থক্য?
আপনি বলবেন? বিশ্বনাথ তুমি বলবে?
আসলে এইসব আহাম্মকি কথাবার্তার ভেতরে
যদি খুঁজতে যান কোমলপানীয়ের পরশ,
প্রাকৃত ভাষার বুনন, তবে ভুল হওয়া স্বাভাবিক।
মুখে না নিয়ে মানুষতো মাছেদের মতো পারে
না বলতে—সাগর আর নদীর লবণাক্ততার রহস্য।
বৃষ্টি
অদ্ভুত এক সুটকেসের ভেতর থেকে দারুণ ফর্সা দুটি হাত
নিরক্ষর ভোরের আলোয় মুঠো মুঠো বিলিয়ে দেয় ব্যক্তিগত নোটবুক।
কোন প্রতিরোধ ছাড়াই সেনাছাউনি থেকে তারা এলোমেলো ছড়িয়ে
পড়তে পড়তে শকুনের ডানার ভেতরে তৈরি করে ফেলে রহস্যময় জগত।
তার আন্দোলন, তার কাতরতা, বাজি ধরে বলতে পারি—
আপনি যেখানেই থাকুন তার অনর্গল ডানা ঝাপটানো
অলীক তরঙ্গের ভেতরে ঠিক জাগিয়ে তুলবে স্মৃতি।
বুকল, কতনা সহজে
বকুল, কতনা সহজে তুমি—বলেছিলে
প্রতিটি ঝড়ের পরে রেখে যেতে হয় চিহ্ন
জীবনের পৃষ্ঠা আঁকা, স্মৃতির ক্যানভাসে।
যে সুড়ঙ্গ থেকে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে
আলো উঠে আসে, তাকে কি করে উড়ে যেতে
দেবে ঝড়ে, চিহ্ন আঁকা আলপথে? গুঞ্জরিত মাছি,
সে যদি মৌমাছিও হয়, তাকেও তো আট
পায়ে আঁকড়ে ধরতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে মাকড়শা।