বৃষ্টিস্নাত বিকেল
তুমি নরম পায়ে হেঁটে যাচ্ছ
গলির মোড় থেকে আমি অবাক
হয়ে দেখছি তোমার হেঁটে যাওয়া
বৃষ্টিস্নাত বিকেল…
তোমার গায়ে ছিটকে পড়া
বৃষ্টির ছোট ছোট ফোঁটাগুলো
আমার দৃষ্টি সীমানায় উপচে পড়ছে!
সকাল বেলায়
জানালার গ্রিল ঠেলে যেইভাবে
আলতো চোখে ছুঁয়েছিল চকচকে রোদ!
তুমি হেঁটে যাচ্ছ
আমি দেখছি তোমাকে যেন তা
জান্নাতি খুশবো ছড়িয়ে যাওয়া হুর…
শূন্য বুকের গেরস্থালী
যখন তুমি চলেই যাবে
যাও চলে যাও
একটা সকাল ক্ষুণ্ন করে
ভুল কুয়াশায়!
থাকবে না আর এই মানুষটা
আলসে দুপুর
শূন্য কলস
শূন্য বাড়ির ভুল হতাশায়!
ভাঙলে ভাঙুক এই অভাগার
গেরস্থালী
চাই না দিতে আর কখনোই
জোড়াতালি!
সব নিতে চাও? নিও তবে
ধরবো না হাত
বলবো না তো আমার সবে!
কাচের চুড়ি, আলতা, নূপুর
হঠাৎ সেদিন মেলায় কেনা
চুলের খোঁপা
সবটুকু নাও —সবটুকু নাও!
শুধু মনের ভুলে রেখে যেও
সেই সে গোলাপ
সেই চাহনি
সেই ঠোঁটের সেই নিখাঁদ হাসি
মরন এলে বলতে যেন পারি আমি
তোমায় বড্ড ভালোবাসি!
তুমি থেকে যাও
চালতাফুলের মেয়ে
তুমি থেকে যাও এই বিষণ্ন বিকেলে
থেকে যাও কাঠালের নরম গন্ধে
এই ডালিমের লকলকে জিভ যখন
ছুঁয়েছিল এই ঝরঝরে বৃষ্টি
তুমি থেকে যাও!
আমার দূরন্ত শৈশবের সবগুলো
দূরন্তপনা একদিন
প্রেমের জলাশয়ে ভেসে যাবে ঠিক
রাজহাঁসের দলে
শান্ত সকালে
জামতলায় জাম কুড়াতে কুড়াতে
দেখে নিও
দূরের আকাশে দুঃখ বিলাসী নীল
দেখে নিও
ছুটির ঘণ্টা শুনে তোমার চলে
যাওয়ার পথে হঠাৎ থেমে যাওয়া
কোনো এক সাইকেল
তুমি থেকে যেও
অথবা চলে যেও না চাওয়ার
ভান করে।