ক.
মেঘ উড়িয়ে যাচ্ছে ঝড়, আর তুমি
ওড়াচ্ছো হাওয়া, রূপোর দানার মতো
মন, রেখে যাচ্ছ কার জন্য!
আমি তো প্রহরী শুধু,
. গ্রামের বাড়িতে থাকি
পাহারা দেই একটি টিয়ে পাখি
. বন্য!
খ.
টেবিলে চায়ের দাগ পড়ে আছে
খালি কাপ—
দেখে দেখে আমি কার স্মৃতি খুঁজি
ভাঙা বেড়ায় জেগে থাকে
. নমিত চন্দ্রের প্রতাপ।
গ.
কেউ কি ঘুমায়
এই টিনের বৃষ্টিশব্দে আষাঢ় নিয়ে
. নিজের শিয়রে
কেউ কি স্বপ্ন দেখে, সূর্যবন্দনা গেয়ে
আবার ডুব দেবে
. বৈশাখী দুপুরে।
ঘ.
কিছুই জানা হলো না
উপশম হলো না কোনো বেদনার
তবু কেন উঠোনে দাঁড়িয়ে
. পুরনো জলপত্র পড়ি—
তবু কেন জোসনায় খুঁজি
. ক্ষতের প্রকার।
ঙ.
জানোই তো,
আমি প্রতিদিন বেঁচে থাকি
তোমার অপমানের ভেতর,
প্রতি রাতে ঘুমজোসনা পাঠ শেষে
আবারও জুড়াই এই গ্রামীণ অন্তর।
চ.
কেউ যদি দেখে ফেলে
আমার এই কাঁচা রঙ দেওয়া বাড়ি
বলবে, লোকটি জানে না কিছুই
. পরাগায়ন এবং প্রেমেও
. খুব বেশি আনাড়ি।
ছ.
পাঠ করছি বিভ্রম, বোতাম
খোলা আকাশের গায়ে
. লাগানো জিপার,
সাজাচ্ছি তোমার জন্য সন্ধে-সমাবেশ
একটু একটু করে জল—
. নদীগামী তৃষ্ণার সাঁতার।
জ.
অন্তত একটি স্বপ্ন রেখে দিয়েছি
ভোরের ভ্রূণে, শাদা গোলাপে মোড়ে
. নিতে চাইলেই দেব
. ধরে রেখো—
যেন হারিয়ে না যায়
. প্রবীণ জোয়ারের তোড়ে।
ঝ.
তোমাকে কি ঢেউ বলব
. না কি স্রোত,
জানি না দু’টোর পার্থক্য
অথচ আমিও ভেসেছি তোমার সমান্তরালে
. আজীবন—
. না জেনেই তোমার লক্ষ্য!