বৃষ্টিদিনে মন্ত্রণা
এমন বরষায় যদি মন ছুটে যায়
তোমাকে কাছে পেতে
তুমি ফেরাবে কি গো আমায়…
আমার এ হৃদয় উতল মোহনায়
বারে বারে মিলিতে যে চায়
এমন বরষায়…
হিয়ার কাতরতা তুমি কি শোন না!
কেন আর দূরে থাকা—
এ জীবন ফুরিয়ে গেলে পাবে কি তার দেখা!
এমন বরষায় হৃদি যাতনায় তুমি উপশম
লিখে দাও ললাটে আমার প্রেমেরই দাম।
এমন বরষায় ঘরে থাকা হলো যে দায়
তুমি কি বোঝ না, মেঘের ইশারায় ময়ূরপঙ্খি কেনো গায়!
এমন বরষায় এ মন নেচে নেচে কার কাছে যেতে যে চায়!
এমন বরষায়…
দিনকাল
বহুদিন ছুঁয়েই দেখিনি রোদের পালক
ভিজে গেছে অনাহুত বরষায় খড়কুটো ওম-
স্যাঁতসেঁতে বিছানায়
কেটে গেছে পতঙ্গ জীবন!
প্রতিদিন সূর্য ওঠে দূরে
পায়ের উপর রোদ এসে পড়ে
করতলে মৃত্যু রেখে
হেঁটে যায় ছায়ার জীবন।
বিষাদের নীলনখ দরোজা মাড়াবে জানি-
অমানিশা কেটে কেটে হবে রোদজামা
ঢাকবে দুঃসময় ঢেকে যাবে ঘনকালো রাত
করাঘাতে খসে যাবে জীর্ণ পলেস্তারা।
যুদ্ধ মানে, ধরো, সন্মুখে ভোর
দৃঢ় মনোবল, দূরে রেখে ছল
আসমুদ্র পাড়ি দেবো একদিন-
নিশ্চয়ই একদিন।
কেউ কথা রাখে না
আমাকে কেউ ডেকেছিলো গহনমগন প্রেমে
আমাকে কেউ ডেকেছিলো একলা পথের পরে
সন্ধ্যা তখন মধুর ছিল পথের ধারে পথ
বুকের ভিতর হাজার চাবুক বাজাচ্ছিল রথ
রাতের পরে দিন এসেছে দিনের পরে রাত
বনের পাখি ডাকছিল খুব পিউ পিউ ডাক
মধুর তাহার ডাক শুনে যেই ঘুম হারা এই আঁখি
আসলো নেমে পথের পরে ভয়কে দূরে রাখি
দিনের পরে মাস গিয়েছে হাওয়ায় উড়ে উড়ে
সারাটাক্ষন মুখর তারা ঠোঁটেতে ঠোঁট রেখে–
হঠাৎ করে সেই পাখিটার ডাক গিয়েছে থেমে
মনকে প্রবোদ দেয় আঁখি তার দারুণ অভিমানে
জানতো নাতো কখন যেন পথ গিয়েছে বেঁকে
মুখর পাখির গান থেমেছে সুর গিয়েছে ভুলে
কান্না ভেজা কণ্ঠে তাহার সুর ওঠে না আর
কেমন করে ভুলল তাকে বুকের হাহাকার!
সেই পাখিটার দিন গিয়েছে চোখের জলে ভেসে
রাত নেমেছে ঘুমহারা এক বিষাদব্যথা শেষে
সেই পাখিটা বধির এখন সেই পাখিটা পাথর
হাজার ডাকেও কেউ পাবে না সেই পাখিটার খবর।