অহিংসচুম্বন
এসো, দ্রাক্ষাবনে রোপন করি হন্তারক আলো-
মোমের পোশাক পরে সবাই আসুক, দাঁড়াক ভূ-সত্যে
অহোরাত্র গলে দৈনন্দিন কান্নায় বাজুক মিশ্র সুর!
উন্নয়নসঙ্গী, এসো, বিচ্ছুরিত আলোকের রথে-
সান্ত্বনাপাড়ার ছিন্নভিন্ন কুটুরিতে সমৃদ্ধির মধু ঢেলে
হাত ধরাধরি করে শুয়ে পড়ি নির্জন, নিভৃত কক্ষে!
শ্রমিকের ক্লান্ত দেহ, জন্ম হোক শ্রুতিপুষ্প, কিংবা,
দেহময় ঝরে পড়ুক একুশ শতকের নিদ্রা- বরং
শ্রবণবিদ্যায় গড়ে তোলা যাক গোপন গিলগামেশ!
আমাদের রাফখাতার মার্জিনে ঝুলে থাক ব্রহ্মচিৎকার
আর সাম্রাজ্যবাদী মঞ্চ আলোকিত হোক সপ্রতিভ চুম্বনে!
বিশেষ দ্রষ্টব্য
বেঁচে থাকা যেন এক বিজ্ঞাপিত কৌশল!
অথবা, অনেক উঁচুতে উঠে পাখির চোখে
আদিগন্ত জীবন-দর্শন!
কখনো মনে হয়, মানুষ এক কেতাদূরস্ত টগবগ
মৃত্যুঅব্দি নিবিষ্ট থাকে রঙ-বেরঙের প্রকোষ্টে
আবার সরল ভ্রমণ শেষে ফিরে আসে
জীবনের কাঠগড়ায় ফের-
শূন্য অন্বেষণে পার করে দীর্ঘজীবন!
সর্বোপরি, মানুষ হতে পারে-
ফুল ও কীটের মহিমান্বিত দিনলিপির সাক্ষ্যবাহী!
আমার ভেতর এক দুখী ব্রিজ দোলে
আমার ভেতর এক দুখী ব্রিজ দোলে
বাদামি একটি ফড়িঙ দেখে নিয়েছে গোপনে
সেই কম্পিত দৃশ্যাবলি…
কম্পমান শরীরে কোথায় দাঁড়াব আমি, যখন
একবিংশ এই শতাব্দী কাঁপছে ধর্ষকামে!
একঝাঁক পাখি উড়ছে রঙিন সুখে
প্রভুত্ব আর হাততালি এনেছে অন্যঝাঁক
দ্বিতীয় ঈশ্বর চলে যাচ্ছেন উল্টোপথে
তখন কিভাবে সংরক্ষিত ভাবব নিজেকে!
দাঁড়াতে না পারার অসহায়ত্ব দেখে দেখে
আমার ভেতরও এক দুঃখী ব্রিজ দোলে
ব্রহ্মা- জয় করা পাখিটিও জেনে গেছে সে কথা!