স্মৃতির সাঁতার
হারিয়েছি আনন্দের দিনগুলো আমি
এখন কেবল কাটি স্মৃতির সাঁতার
সঙ্গীরা অতিথি হলো দূর এলাকার
এসব ভাবলে ওঠে হৃদয়ে সুনামি।
আমি আর সঙ্গীসাথী কুদ্দুস-রহিম
বাজারে দিয়েছি কত চায়ের আড্ডা যে!
এখন সবাই ব্যস্ত নিজ নিজ কাজে,
আনন্দের ক্ষণ ছিল তখন অসীম।
এসব এখন শুধু স্মৃতির পাতায়
অক্ষরে অক্ষরে লেখা কিছু অনুভূতি
লুকিয়ে আছে যে এই মনের ছায়ায়,
হৃদয় নাড়ায়, গাই বিরহের পুঁথি
কারণ, এই বন্ধন অনেক মায়ায়
দিয়েছিলো ভালবাসা, প্রেম প্রতিশ্রুতি।
বিষণ্ন বিদায়
যখন বেজে উঠলো বিদায়ের গিটার
নদীভাঙন-কবলিত সড়কের মতো বিষণ্ন হলো হৃদয়।
বিলীন হলো মুখের ভাষা বাতাসে উড়ে যাওয়া ছাইয়ের মতো, রুদ্ধ হলো কথা।
খুলে যাবে খুলে যাবে ভাব তবু খোলেনি চোখের জবান— বিদায়! চলে যাচ্ছি বলার জন্য।
অতপর, হাত নেড়ে বিদায় জানিয়ে চলে আসতে হলো বেদনার তোড়া বুকে নিয়ে।
আমার বিদায়ে আমার অথবা অন্য কারও দোষ নেই!
সময়ই আমাকে ঠেলে ঠেলে বিদায় করেছে।
প্রতারিত চুম্বনের দাগ
একমুঠো সবুজ প্রেম মাখতে বৃক্ষের কাছে যেতে চাইলে—হেঁটে হেঁটে বৃক্ষ আমার থেকে দূরে চলে যায়।
তার কাছে যেতে নিষেধ করে,
বলে, আমার গায়ে নাকি কোনো রমণীর প্রতারিত চুম্বনের দাগ লেগে আছে।
আমি অশ্বের মতো দৌড়াই বৃক্ষের কাছে যেতে, সবুজ প্রেম মেখে ফল কিংবা ফুল হয়ে বৃক্ষের মগডালে ঝুলে থাকতে।
কাছে ভিড়তে পারিনি!
ব্যর্থ হয়ে পাখিদের কাছে গেলাম, তাদের প্রেমমাখা কণ্ঠ শুনে আত্মাকে পরিতৃপ্ত করতে।
পাখিরাও উড়ে গেলো—একখানা পালক ফেলে।
পালকে লেখা—প্রতারিত চুম্বনের দাগওয়ালা পুরুষ, নদীর কাছে যাও।
একথা শুনে ব্যর্থতার জলে ভেসে ভেসে নদীর কাছে পৌঁছলাম জলের মতো স্বচ্ছ একমুঠো প্রেম মাখতে।
নদীর কাছে শোকগাঁথা কোকিলের করুণ সুরের মতো মিনতি করে বললাম, একমুঠো স্বচ্ছ প্রেম দাও।
নদী বললো—আমার স্তনের জলে মেশা আছে স্বচ্ছ প্রেম! যতটুকু লাগে নিয়ে যাও।
অতপর, জল নিয়ে ধুয়ে ফেললাম প্রেমের নামে প্রতারণাকারী রমণীর চুম্বনের দাগ।