চন্দ্রচূর্ণ
জোৎস্না উড়িয়ে উড়িয়ে ফিরছি বাড়ি আমরা দুজন।
ঘোর অমাবস্যার রাত।
আঁচলে একশত জোনাকি, চন্দ্রচূর্ণ পকেট ভর্তি।
অভিজাত সেনা কালো রুমালে চোখ ঢেকে দিয়ে
বললো—
—কোন চন্দ্রবিলাস চলবে না।
—সোজা চলে যাবে, ডান-বাম করবে না।
বোকা সৈনিক ভাবতেও পারেনি
আমাদের কানে আর খোঁপার ভাঁজে
গোঁজা থাকে দু-চারটা চাঁদ।
আজ সারাদিন বৃষ্টি হবে
পথ ঘোরালাম মেঘের ডাকে—
আজ সারাদিন বৃষ্টি হবে।
দরদি এক রেলগাড়ি
দাঁড়িয়ে আছে সালদানদী
ধুলোমাখা মুখখানা মোর
আজল ভরে তুলে বলে—
ওপারে যাও, বৃষ্টি হবে।
আজ সারাদিন বৃষ্টি হবে।
আগুনমুখো নদীর ওপর
পিতামহের শিরদাঁড়াটা
পিঠ পেতেছে সারি সারি কশেরুকা।
ওপারে যাও। বৃক্ষপিতা দ্বারে বসা
বুকের মাঝে বৃষ্টি আছে এক নায়াগ্রা।
ওপারে যাও, বৃষ্টি হবে।
আজ সারাদিন বৃষ্টি হবে।
বিশ্বাস
কিতাবের পিঠে রাখি
এক টুকরো আঙুল
পরিযায়ী পাখির ঠোঁট
গুনগুন
পবিত্র সুর
রাখি বিশ্বাস
অন্য রাতে কিছু হতে পারে।
নিমের বুকে বেঁধেছি কলস
টিপ্ টিপ্
টিপ্ টিপ্
জমবে অমৃত
রাখি বিশ্বাস
অন্য রাতে কিছু হতে পারে।
সারারাত রাখি বুকের কাছাকাছি
একটা গোলাপ
এক ছত্র পদ্য
এক পেয়ালা রক্তবীজ
রাখি বিশ্বাস
অন্য রাতে কিছু হতে পারে।