বিকালবেলার ঘুঘু
আজকাল প্রেম নেই চোখে
নিষাদ সুরে ভিজছে বিকালবেলার ঘুঘু।
পুড়ে যাবে বলে ডানার ছায়ায় ঢেকেছে
অক্ষিকোটরের ঘুম।
আহা! ঘুম যেন কল্পিত জননীর নাম
সন্ধ্যা গড়িয়ে আসে শঙ্কিত পায়ে
আয় ঘুম, আয়! দীপ নিভে যায় যায়!
ধূসর পৃথিবী দিয়ে পালক বুনে
চলেছ মেরুরেখার দিকে,
একলা চঞ্চুতে দীর্ঘ রোদক্ষরা দিন—
বিভ্রমে মায়াঘোর নামো।
চঞ্চুতে খুঁটে খাও এক টুকরো
. স্বপ্ন।
কার ঘুম এলো চোখে
গোধূলির চায়ের কাপে যে মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়েছে,
তাকে ভালো লেগেছিল।
উড়ন্ত বকের সারি পাপড়িতে ছায়া ফেলে
নরম করেছে আরও শরীরের ভাঁজ-
মাটির গন্ধ তাকে টেনে নিয়েছিল।
দূরের পাহাড়ে আছে বিকালের কফিক্ষেত,
শস্যভারে নত যার অমিত বেদনা
নরমানো চোখের আলোয়ই ভালোবেসেছিল
সে তো সন্ধ্যার মেঘে চিঠি পায়নি আর খুঁজে।
দুপুরের রোদ পড়ে এলে ফের
পৌঁছে যাব ট্রামে করে বাড়ির পথ
পকেটে ক’পয়সা কম পেলে ‘পর
চা’র বিল হাঁটা পথ মেপে দেবে কত—
সন্ধ্যার চিঠি যদি ডাকে না ফেরে—
চোখের পাতায় রেশ থেকে যায় আরও,
ভালো লাগা কাকে বলে হারিয়ে ফেলেছ
পুরনো কয়েন জমানো বাক্সের কোণে,
জেনে গেছ মেয়ে তুমি ততক্ষণে সেই—
চা’র কাপে ঘুমিয়েছি কতকালজুড়ে।
মার্কেজের একশ’ বছর চুরি গেল
নিঃসঙ্গতার বারুদ ফুরিয়ে এসেছে
রোদ উঠে এলে—
নীলরঙ ঢেউয়ের কাছে চলে যাই
ধোঁয়াটে বালুচর দেখি ডুবে যেতে যেতে।
তারপর, আরও একশ’ বছর কর্নেল!