এই কালো শরীর
ঘাসের লণ্ঠন জ্বেলে কে ডাকো সবুজ সবুজ!
পাতার উড়োজাহাজে ভেসে দেখে যাও—
বিরান প্রান্তরে জমিয়েছি শীতের শিশির
বুকের গোপনে সাজিয়ে রেখেছি আগামীর বীজ।
এখন তো অনেক কাজ মাঠে মাঠে
পাকা ধান কেটে কেটে অবশ দুহাত
লাহাড়ির অবসরে থরে থরে স্বপ্ন আর
কানে গুঁজে রাখি কলমির ফুল…
আহা সেই স্বপ্নের ঘরে মহাজনী ইঁদুর
ফসলের ফসিল কেটে চালাকি ধামায়
ভরে ছিল গর্তের গোলাঘর আর তার
লাল চোখের নিচে জমেছিল পাপের সিরিজ…
ঘাসের লণ্ঠন জ্বেলে কে ডাকো সবুজ সবুজ!
পাতার উড়োজাহাজে ভেসে দেখে যাও—
এই কালো শরীর ছাড়া আর কিছুই পাবে না।
গ্রহণ
কত ডাক আসে ঘরে কত ডাক ফিরে যায়
চাঁদকে উল্টো করে হাতে ধরি রূপালি কয়েন
আমার ভেজার বাসনা আকাশের গায়ে যখ
লাগে দেখি মেঘের গ্রহণ—
খুব বেশি কচুপাতায় স্বপ্ন দেখি না।
যখন উঠেছে ফুটে দাদিমার নকশিকাঁথায়
এক নার্সের চোখের মতো বিড়ালের চোখ
কুয়াশার জ্যাকেটে মোড়া দাদার কবর;
তখন জেনেছি আমি—
কত ডাক আসে ঘরে কত ডাক ফিরে যায়
আকাশের গায়ে কেন লাগে না গ্রহণ!
বায়নাসূত্রে
বায়নাসূত্রে জমির মালিক তুমি হতে পারো
বুনতে পারো বীজ— ফলাতে পারো ফসল
গুনিন দ্বারা বন্ধক করতে পারো সীমানা প্রাচীর।
হয়তো তৈরি করতে পারো সুউচ্চ আলিশান বাড়ি
ছিমছাম কারুকাজে থাকতে পারো আরাম আয়েশে।
বাড়ির চারপাশে লাগাতে পারো বিলাসী গাছ—
ফুলের সৌরভ নিয়ে জোছনা নামাতে পারো ঘরের ভেতর।
যেহেতু বায়না সূত্রে জমির মালিক তুমি—
তাই যা কিছু ইচ্ছে করতে পারো…
মালিকানায় নিতে পারো সুদর্শন হরিণ
আপেল কেটে টুকরো করে সাজাতে পারো নাস্তার টেবিল
প্রসাধনের ছোঁয়ায় ত্বক করে তুলতে পারো সজীব।
ভেবে দেখো বায়নার বিপরীতে তুমি
ধরে রাখতে পারো না নিজের শরীর…