বহাল তবিয়তে
এখানে বহাল তবিয়তে আছে তারা
খায় দায় ফূর্তি করে
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাগান বাড়ীতে
বনেদি বাসিন্দা, কী নিশ্চিত জীবন যাপন
ফুলের সুগন্ধ চতুর্দিকে, হাত বাড়ালেই
স্বপ্নপক্ষী হাতের মুঠোয়, বারান্দায়
ভালোবাসা প্রস্তুত স্পর্শের প্রতীক্ষায়
অন্দর মহলে নিত্য নৃত্যরত হরিণ হরিণী
বিদ্যুতের তারে বসে দাঁড়কাক
দ্যাখে আর ভাবে
আমিও তাদের মতোই বহাল তবিয়তে আছি
কপাল মন্দ কী?
খরা
খরা ভেতরে বাইরে
খরা জলে স্থলে অন্তরীক্ষে
ফুল ফোটে না
ফল ধরে না
মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির
নির্মেঘ আকাশ শুধু ছড়ায় উত্তাপ
বিয়াবানে বৃষ্টিফোঁটা তহুরা শরাব
শুষ্ক জলে শরীর ভিজায়ে
ঘরে ফেরে রমণীরা, ভেজা শাড়ি
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে কারুকার্যময়
চতুর্দিকে গোরের স্তব্ধতা
কী নিবীর্য সকাল দুপুর রাত
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে কী সব গুজব
হাফেজেরা বসে গেছে শবিনা খতমে
পার্লামেন্ট খরা কী, বোঝে না?
সবাই ঘুমায়
সবাই ঘুমায়
এ তল্লাটে এখন ঘুমের মওসুম
চোখ মেলে ঘুমায়, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমায়
শুয়ে বসে ঘুমায়, ঘুমায় মাটিতে পাটিতে
চেয়ারে চোকিতে খাটে
মাঠে ঘাটে ফুটপাথে পার্কে
হোটেলে হোস্টেলে মগডালে ছাদে;
কোথাও টুঁ-শব্দ নেই- সুনসান নীরবতা
যেন গোরের নৈঃশব্দ্য
কবি নিরিবিলি বসে
সারারাত বুনে নানা রকমের নানা স্বপ্নজাল
সেই জালে গাঙের মাছের মতো
উঠে আসে জীবনের অবচেতনার স্বপ্নগুলো;
জেগে দেখি সূর্যের বেগুনি রশ্মি
এসে গণতন্ত্রে চুমু খায়।