অচ্যুত চাড়াল
ভেবো না বুঝি না কিছু অনাহূত নাগরিক বলে
কতক মানুষ দেখি দাম্ভিক অপরিণামদর্শী
পাষণ্ড হৃদয় তাই পাশবিক অন্দর মহলে
কূটচালে ঘুটি তাঁর বেসামাল অগ্নি বাক্য বর্ষি।
কখনো করে না দ্বিধা নিক্ষেপিতে টমহক ক্রুজ
লেলিহান ঘৃণ্য শিখা গ্রাস করে সুকুমার কলা
ভেবো না বুঝি না কিছু অনাহূত অথর্ব অবুঝ
কে বলে মানবী তুমি হন্তারক পাষাণ ত্রিফলা
রাষ্ট্রীয় পাহারা কই? সুনিশ্চিত অদৃশ্যে আড়াল
অন্তর্জালে বন্দি করে ফন্দি আঁটে ঘোলাজলে মাছ
মূল্যহীন এই আমি অধোগামী অচ্যুত চাড়াল
রাজনীতি হয়ে ওঠে নিষ্ঠাহীন দুর্জন উবাচ।
সময় এখন মোটেও সহায়ক নয়
ছন্দহীন উত্তাল এখন আমাদের সময়,
মোটেও সহায়ক নয় কোন কিছু
অথচ নিথর আমি নৈশব্দে
ঝুলে থাকি বোধের শাখায়
যেন নির্জীব সরীসৃপ এক
না জলে
. না ডাঙ্গায়
ত্রাহি ভাব তাঁর।
প্রকৃতি সাজে না আর
চিরচেনা বাসন্তী সাজে
কৃষ্ণচূড়া দেখলেই মনে হয়
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙা
শোকাহত মৃতপ্রায় বৃক্ষ।
সময় এখন মোটেও সহায়ক নয়।
বসন্ত আসে না আর চৈত্র-নিশীথে
এখন চারদিকে শুধু মিথ্যার বয়ান
কেমন অবলীলায় মিথ্যার পরাগায়ন হয়
ফোটে না ফুল মোহন ভঙ্গিতে সহজাত
অশ্রুজলে সিক্ত মিথ্যাগুলো
আবেগে উদ্ভাসিত তরঙ্গে বহমান
উড়ে যায় মান্দালয় থেকে নেপিডো
এভাবেই একদিন সমূদয় গোলাপ বাগান
ভরে যায় আফিমের ফুলে
এখানে এখন বসন্ত আসেনা চৈত্র-নিশীথে।
ইরাবতীর স্বচ্ছজলে সাঁতার কাটা
সত্যশুভ্র মাছগুলো মিথ্যায় আক্রান্ত
কদাকার ব্যাঙ্গাচির মতো কুৎসিত
সাউন্ড গ্রেনেড উদগিরিত
. ইয়াঙ্গুনের বাতাসে
ভাসমান শিসার বৈষম্য
ঢাকায় বসে আমরা স্বর্গসুখ অনুভব করি ।