বনানী
ভূত দেখার মতো চমকে উঠেছিলাম
যেদিন—প্রথম দেখি
দেখেছিলাম—ধানমন্ডির লেকপাড়ে—পার্কে
ঢাকার ফুসফুসখ্যাত এই পার্কে একদিন হঠাৎ
বেরিয়ে এলো এক রূপসী দীর্ঘশ্বাস
যেন দৌড়ে এসে থমকে দাঁড়ানো মায়াহরিণ
এমন স্তব্ধ মুহূর্তে—শিরদাঁড়া-টাড়া নয়
ভয়ের মতো এক রোমাঞ্চকর উত্তেজনা
চোখের পলক বেয়ে নেমে এলো হৃদপিণ্ডে
এরপর থেকে যতবার—ততবারই
পলক থেকে হৃদপিণ্ডে—ততবারই
প্রাথমিক উত্তেজনাময় সে দর্শনীয় দৃশ্যময়তায়
জীবনানন্দের পদ্মপাতা-টাতা নয়
প্রকৃত অর্থে—ভূত দেখার মতো চমকে যেতে হয়
অলিখিত প্রস্তাবনা
তাকে বললাম, দুই জোড়া পায়ে হেঁটে
এই তপ্ত দুপুর পেরিয়ে
চলো সন্ধ্যার দিকে চলে যাই, যেখানে রোদের সাথে
দৃষ্টিভনিতার কোনো প্রয়োজন পড়ে না, বরং
সূর্য যেখানে উপগ্রহের চিবুক ছুঁয়ে
ভূতলে ঠিকরে পড়ে, আমি সেই প্রকৃত রোদের আভায়
মন ভরে তোমার মুখের আলো দেখব, আর
ভূত দেখার মতো চমকে উঠব বার বার—তোমার
ঘোরলাগা চোখের দিকে চেয়ে
সে বললো—না না, এখানে ধর্ম আছে সূর্যময়—
যা আমি পরম্পরায় পেয়েছি; এখানে আছে অন্ধকার
যেখানে এলইডি লাইটের আলোকেই আমরা জোছনা বলে ডাকি
নিজস্ব প্রতিবেদন
যাকে সাষ্টাঙ্গ দিয়ে মনে রাখি
তাকে করি ভুলে থাকার অভিনয়
আমি কি আর দক্ষ অত, লোকের চোখে ধুলো দিয়ে
পালিয়ে বেড়াব—সুশোভিত ফুলের স্তবক হাতে
পেরিয়ে যাব অনাগত কাল?
অ্যামেচার চোখ শুধু জানে
নোনতা জলের থেকে কিভাবে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে হয়;
সে কথা বলতে বারণ—
কেউ যদি ভুল করে বলে তার নাম
মুখে তাচ্ছিল্যের অভিনয়, অন্তরে হাজার প্রণাম