যে সময় চলে যায়
যে সময় চলে যায়, তার গায়ে কে এঁকে দিয়েছিল
হীরের আল্পনা—কতগুলো জংধরা
ট্রেন আটকা পড়ে আছে পেছনের স্টেশনে—তবুও
বাতাস বয়ে যায় সবুজ ধানের মাঠে—বেঁকে যায়
নদীজল—বল জীবন
. ক্রমাগত লাটিমের কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
খেই হারিয়ে ফেলেছি বলে
যেদিকে হেঁটে যাচ্ছো হে বিষণ্ন বংশীবাদক
আমি ঠিক পিছু পিছু ছুটছি
. ছুটছি তো ছুটছিই
দেখি কতদূর নিয়ে যাও
কতদূর গিয়ে থামাও তোমার অভিযাত্রা
তারপর সেখানে কি আছে?
আসলে এসব নাটকের শেষদৃশ্যটা
আগে থেকে জানা থাকে না কারো
এমনকি হে বংশীবাদক তুমিও জানো না
ঝর্না আর জঙ্গলের পথ পাড়ি দিলে যে
দুরূহ পাহাড়
. তার আসল নাম কি?
দেখি কতদূর নিয়ে যাও
কতদূর গিয়ে তুমি থামো
আর আমি ঠিক এভাবেই চলি এলোমেলো হেঁটে
ফরমালিন
বাজারের মাছ আর এখন পচে না—আলু ও পটল
আপেল, আঙুর চেয়ে থাকে ঝলমল—টমেটোর স্তূপ
স্বর্ণখ-, ছড়ায় সোনালি দ্যুতি—সময়ের অগ্নিপরীক্ষায়
পুড়ে গেলে হলুদ খোসাটি, তখনো দোকানে ঝুলে
অবিনাশী কলা
ঈর্ষণীয় অমরত্ব নিয়ে
বাজারে পচে না আম, আমলকি, লিচু
পুঁইশাক, ধনিয়া, পুদিনা
আজকাল ওসবের কিছুই পচে না
কেবল পচন মানুষের
মানুষেরা ক্রমে পচে যায়।
কবিতার রাজপুত্র
আমিতো মামুলি লোক, তোমাদের ইট
পাথুরে জঙ্গলে
. নিজেকে হারিয়ে খুঁজি—
বিনালে গিয়েছে সব অর্জিত ইলিম।
যদি কোনদিন আর ফিরে না পাই, বলিও
‘এক ভাগ্যাহত ছিল, জীবনে কেবল
উলুবনে মুক্তা ছড়িয়েছে—নয়তো সে একদিন
কবিতার রাজপুত্র হতো!’