ভালোবাসা ঘুমায়েছে জেগে আছি আমি
ভালোবাসা ঘুমায়েছে—জেগে আছি আমি
আমি কি জাগাবো তাকে
চুমু দিয়ে ঘুমন্ত অধরে?
যদি জেগে যায়—দেখতে পাবো না তার
হাঁটুর ওপরে থাকা নৃত্যগর্ভ তিল
কে বলে সুন্দর শুধু গৌরবর্ণ গাল আর
সোনারঙ ঊরু?
আহা তিল—সোনালি আকাশে
একখানা কালোবর্ণ চাঁদ!
চাঁদমুখে চুমু দিয়ে প্রবেশিতে পারি—
ভালোবাসার সপ্তম জান্নাতে—
যেখানে উধাও হয়
জগতের যাবতীয় বিষয়ীচেতনা
আর শিরায় শিরায় শুধু ছলকে ওঠে
সুনেশায় শিহরণে নিবিড় পুলক!
কিন্তু চুমু দিলে চাঁদে যদি জেগে ওঠে
সমস্ত আকাশ
যদি অপ্রসন্ন হয়,
আমার হবে না যাওয়া স্বর্গের বাড়ি
আমার হবে না দেখা চাঁদ চেয়ে চেয়ে
অতএব সে ঘুমাক্—তাকে জাগাবো না
ভালোবাসা ঘুমায়েছে—জেগে আছি আমি।
দুঃসময়ের ইনিংস
এবং সেই সুযোগে একটা ডানাভাঙা হাফ সেঞ্চুরী
অতঃপর বোল্ড, ক্লিন বোল্ড!
তারপর—শূন্য রানে—একরানে—দশরানে..
বুঝতেই পারছেন—খেলা থেমে নেই
পক্ষ আছে—প্রতিপক্ষও আছে
দর্শকের কথা বলছেন? দেখুন—
গ্যালারিতে ঝড়ের ঢেউয়ের মতন উপচে উঠছে মাথা!
মাল্টি মিডিয়ার সাফল্যে বদলে যায়—
ঘর-ছুঁয়ে-থাকা অশোকপাতার রঙ
রঙহীন জল পায় রঙ ধারণের ক্ষমতা
তো কি করবে থার্ড আম্পায়ারের অনুগত চোখ!
হারতে হারতে হারতে—সময় হয়ে পড়েছে আন্ডারডগ
পরাজয়ে দেখে দেখে বেদনাবিধুর-
দিগন্তের দেয়ালে পিঠ ঠেকা দর্শকসারি
আবার গেঁয়ো গোঁয়ারের মতো কিছুটা নাছোড়বান্দাও
সে ক্কচিৎ হাফ সেঞ্চুরি করলেই দর্শক ভাবে-
এই বুঝি ফিরে এসেছে—ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
অভদ্র ভালোবাসা
কিন্তু কাছে যেতেই ইচ্ছেরা ঝড় হয়ে ওঠে!
আমি সেই প্রেমিক—যার পিপাসার টেবিলে
বারবার উল্টে দেওয়া হয়েছে
গরম চা এর কাপ: নাও খাও!
জিহ্বা পুড়েছে, পিপাসা মেটেনি।
অথচ কেন যে ভুলে যাও-
পিপাসারও সিলেবাস আছে!
এখন আমার হাঙরেরা ঘুরপাক খাচ্ছে
তোমার জলপ্রাসাদের চারপাশে;
তুমি তাদের হা-এর ক্ষেত্রফল দেখো
আর শোনো উদগ্র ভোসভোসানী;
অদেখা আড়ালে রয়ে যায়
মহাশিল্পীর হাতে রচিত নান্দনিক পিপাসার জলছবি।