বোশেখ পোড়ে…
এক দুপুরে নির্জনতা
বোশেখবানে মরেই গেলো
পাগল করা বিষণ্নতা
কী সব ভেবে সয়েই গেলো।
এমন দুপুর রোজই নামে
সূর্য নামে মাথার ’পরে
একটি ছোটো নদের দামে
রৌদ্র-ছায়া সওদা করে।
ডানার রোদে উড়ছে পাখি
ব্রহ্মপুত্রে ছায়া ফেলে
পালক তুলে জমিয়ে রাখি
একটি দুটি কুড়িয়ে পেলে।
এক দুপুরের হাহাকারে
ভুবনডাঙা পুড়ছে মনে
সময় হলে বলবো তারে
বোশেখ পোড়ে দূর গগনে।
প্রেমিক
দমকা হাওয়া বইছে বিভোর করে
পাহাড়ি মেঘ ঝরছে জলের ’পরে
পড়ছে কোথাও একটি দুটি বাজ
নির্বিকারেই হয়তো করছো কাজ
এসব ছাড়াও ভাবনা আমার ঢের—
জানতে চাই না কিছুই আমি এর।
কালিকা শুনে কাটছে অলস দুপুর
প্রেমিকার পাশে সন্ধ্যাগুলো মধুর
রাত ভোর হয় স্বপ্ন দেখার ঘুমে
জীবন তোমার সুখেরই মৌসুমে
এসব ছাড়াও ভাবনা আমার ঢের—
জানতে চাই না কিছুই আমি এর।
সবকিছু ছেড়েছুড়ে যাব…
ভুবনডাঙার আয়োজনে
এই যে বাণিজ্যের হাটে
পাটে পাটে সাজানো জীবন
সবকিছু ছেড়েছুড়ে যাব।
জীবিকার চোরাগলি জুড়ে
হাঁসফাঁস, টাইম স্কেজুয়েল
আরোপিত সুখ-ব্যথা ঝেড়ে
হাসিমুখেই সব হারাব।
মন কেমন করা দুপুর
মেঘবতী সন্ধ্যা-ধূসর
উষ্ণ তুমুল শীতরাত
এমনই রেখে চলে যাব।
মমতার অকৃত্রিম হাত
সুরে সুরে সাধা প্রিয় গান
প্রেমিকের অসহ্য চোখ
ভালোবেসে তবু চলে যাব।