হ্যাংওভার
স্মৃতি হারানোর আলাদা কোনো অনুভূতি নেই
জ্ঞাত হওয়ার পর
যখন পলাতক স্মৃতিরা ফিরে আসে না—
অনেক ভেবে ভেবে
কিছুই যখন মনে পড়ে না
মাথার ভেতর কাজ করে অদ্ভুত শূন্যতা
নিউরনের ব্ল্যাকহোল সময়কে খেয়ে ফেলে—
দিব্য দিবালোকে চোখ খুলে মুচকি হাসি ছাড়া
আর কিছুই করার থাকে না
আরও গভীরে
নিরালা ঝাউবন ভেজানো সাগরের ঢেউঘেঁষা সন্ধ্যায়
আমি ডুবে যাওয়া গোধূলিপানে হেঁটে যাই
আর তুমি—আবছা অন্ধকারে
একটা নিখুঁত এনকাউন্টারের দৃশ্য আঁকো
এরপরও নগরপ্রথা টিকিয়ে রাখতে অনেকেই বেঁচে থাকে—
কপালের নিচে দুটি আর্দ্রগোলক আছে বলেই
একচোখে আলোর নাচন, অন্যটাতে আঁধার কালো
বাম নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার শব্দ ডান নাকে যায় না
শোনে দূরে থাকা দুটি কান—
আত্মিকতা একটি পৌরাণিক ধারণা
ডিজিটের হিসাব দিয়ে জীবনের সবকিছু হয় না।
প্রথম প্রেম
‘প্রথম প্রেম’ এক আধ্যাত্মিক ধারণা
গভীর অর্থ বহন করে
অক্ষরবৃত্তে বাঁধা যায় না
এটি পুরোপুরি স্পষ্ট নয় যতটা মনে হয়
প্রথম প্রেম হলো তাই যা প্রথমে মনে পড়ে—
এটি স্বরবৃত্ত, ছন্দময়।
প্রথম প্রেম কখনো কখনো প্রেমিকা নয়।
হতে পারে সেটি কোনো ফেলে আসা স্মৃতি
হতে পারে বৃষ্টি ভেজা ছাতিম অথবা গোধূলি
হতে পারে খেলার মাঠের পুরোটা দৃশ্য
হতে পারে কখনো কখনো জমে ওঠা বন্ধুত্ব
হতে পারে প্রিয় সখা, অথবা প্রিয় সখী
প্রথম প্রেম মানে প্রিয় মনজুড়ে থাকা প্রিয় মু্হূর্ত্বগুলো
প্রথম প্রেম মানে যে প্রেম শেষ হওয়ার নয়—
দীর্ঘশ্বাসের শব্দ
স্বর্গের রাস্তা এই বুকের ভেতর হৃদয়থলিতে—
কোলাহলমুখর সময়জুড়ে নিঃসঙ্গ যাত্রাপথ
কেউ নেই সাথে, আগেও ছিল না, থাকে না কখনো
জীবনের দৌরাত্ম্য জীবনকে খেয়ে ফেলে এরপর মৃত
মরা মন আমাদের অথচ ফেসিয়াল করি প্রতিনিয়ত
ইলেকট্রিক ট্রেনের শব্দ নেই কোনো—
স্টেশনের কোলাহল পেরোনোর পর নিথর আঁধার
সোজা রাস্তায় তিন ঘণ্টার পথ বাকি আছে মাত্র
কিন্তু আরও সাত ঘণ্টার পাথার ঘুরে গাইবান্ধা পৌঁছাব
স্বর্গের রাস্তা আর রেললাইন অনেকটা একইরকম
ঘুর পথে যেতে হয়—
প্রান্তর প্রান্তরে হৃদয়ের কষ্টি মেপে তারপর গন্তব্য
বুকের মধ্যে রেল চলে অবিরত রেলের মধ্যে আনন্দ!
রেল লাইনের অন্ধকারে থামে না দীর্ঘশ্বাসের শব্দ।।
এই ফারুক
এই ফারুক
তুমি চুপ করো
ওই গবেষণা নথি ছিঁড়ে ফেলো
আমরা না হয় দুধ খেয়ে মারা যাবো
ফের জন্মে গরু হবো, অ্যান্টিবায়োটিক খাবো
আমরা দুধেল গাই হবো, ক্যামিক্যালসহ দুধ দেবো
ফারুক—তুমি অধ্যাপনা ছাড়ো
মূর্খ রাখাল সাজো নয়তো কুলু হও
চপচপে হাত দিয়ে শুয়োরগুলোকে মালিশ করো
একটা জীবন বাদুর হয়ে বাঁচো, নাহয় প্রস্তুতি নাও
ওরা তোমাকে ল্যাংটা করে নাচাবে, এটা রঙ্গমঞ্চ,
তামাশার জায়গা, যে মুখে খাও ওই মুখেই হাগো,
এখানে থাকলে সঙ সেজে থাকো, নয়তো ভাগো,
এই ফারুক, তুমি এখনো মানুষ কেনো?
দেখছো না এটা একটা অভয়ারণ্য
মেরুদণ্ড বাঁকা করো, পশু হয়ে যাও, ল্যানজা নাড়ো