তোমাকে ছুঁয়ে চোখে রাখি চোখ
তুমি কি চাওনি এমন দেখা হোক!
চেয়ে আছে মিষ্টি চোখে ডালিমের দানা
কতকাল ধরে তার অনন্ত বাসনা
অধরের ছোঁয়া নিয়ে ফেটে যাবে ধীর
ধীরে-ধীরে বেড়ে যাবে সাগরের তীর
সাগরের তীর ছুঁয়ে মাতাল হাওয়া
খুলে ফেলে সব বাধা তোমার চাওয়া
বলো তুমি, এসো না আরও গভীর
ভিজিয়ে দাও পাপড়ি মাখা বাগানের তীর
দুই.
এসো তবে
ভেজা ভেজা
গোপন পুকুরে
ঘাটে ঘাটে খিল দিয়ে মধ্য দুপুরে
ছায়াহীন রোদ মেখে কুমারী নুপূরে
নুপূরে নুপূরে বাজে কামনার গান
গান শুনে তুমি আমি ভাসাই সাম্পান
সাম্পানে ঝরে পড়ে বধূর সুবাস
ঢেউয়ে ঢেউয়ে উপচে পড়ে মধুর সর্বনাশ
সর্বনাশ ছুঁয়ে ছুঁয়ে এত উন্মীলন
বলো তুমি সবকিছু তোমার কিরণ
তোমার কিরণে শুধু ঝরে পড়ে মধু
মধু পিয়ে হয়ে যাই মালঞ্চের নিধু
তিন.
কেন তুমি হয়ে যাও এমন ধনুক
মুক্তা আমি এনে দেব খুঁজে সব ঝিনুক
আহা সরাও না কেন হাত
হাত সরালেই মধু গিরিখাত
আড়াল কেন করেছ তুমি ওমন চাঁদের বাস
জোসনার ভেতরে করি আমি আগুনের চাষ
চার.
এমন কলাময় কোমল পাঠে
তুমিও কি ওঠো না ভিজে গুপ্ত মাঠে!
উঠি ভিজে, দেখো না আমার রস
মাতাল হাওয়ায় খাচ্ছি কেবল ধ্স
ধসের ভেতর এমন দারুণ ছন্দ ভরা তাল
তালে তালে তালের মাঝে উঠছে সুখের পাল
পালের মাঝে তালের মাঝে দিও না আর ডাক
পাহাড় সাগর নদীর ডেরা সব ভেসে যায় যাক
বলি আমি, মোমটা দেখো আগুন দেখো খুলে তোমার চোখ
চোখ না খুলে বললে তুমি, ‘মিষ্টি আগুন আরও জখম হোক’