ও প্রেম ও পূণ্য
তোমার সঙ্গে দেখা হলে, অনেক দিনের পরে
তখনো কি বলতে পারব এমন সহজ করে
চুমু খাব,
চুমু খাব, ইচ্ছে করছে খুব!
উত্তরে—
তুমিও কি সেই তখনো বাড়িয়ে দেবে ঠোঁট,
এই এমনই করে, সকল মানুষজনের ভিড়ে।
ও মেঘ, ও অচিন
কেন মেঘ
বলো তুমি—ভালোবাসা?
এখানে অচিন কারাগারে, মানুষ
ফুরায়ে ফেলছে দিন।
এখানে ক্লান্ত ছাতিম রাতের ঘুম ঘুম ব্যস্ততায়
বিক্রি করছে তার একান্ত ঘ্রাণ—অবহেলায়।
ওইপাশে মেঘ তুমি, ওইপাশে তুরাগ
স্বর বেয়ে তবুও ঘ্রাণ
যেন এই মিথ্যে নগরে আসে তোমার,
বৃষ্টি নামবে,বুঝি! বৃষ্টি আসবে এবার?
বৃষ্টি নামাবে মেঘ? কতকাল ভিজি না—জলে
কতকাল ছায়া ভেবে দাঁড়িয়েছি রোদের তলে!
কেন
মেঘ, বলো তুমি
ভালোবাসা; পৃথিবী যাচ্ছে যখন মিথ্যেই গলে।
ও মেয়ে, ও মন
ধরো,
না ধরতে হবে কেন!
এ তো সত্যি, এখানে ধরাধরির কিছু নাই।
ওই যে,
তুমি জানালে কাল
ভীষণ ব্যস্ত যাবে সময় তখন আমার মনে হলো
বলি মুখ ফুটে তোমায়,
একটুও দেখা না হওয়ার চেয়ে
আমি বরং তোমার সঙ্গে, মিশে যাই
ব্যস্ততাতে!
রৌদ্র, ঘাম ও ক্লান্তি মেখে দৌড়ে যাওয়া সকাল
আর মুছতে থাকা দিন, একেবারেই কাটছে না
যে,—তোমারে বিহীন।
তার’চে বরং ভালোই হতো, প্রেমিক হয়ে যাওয়া,
তোমার দুটো টিউশনি আর ক্লাস, পরীক্ষাতে
একটু একটু করে হলেও অনেক—হতো পাওয়া।
পরাননামা
১.
এতো ঘৃণা—
প্রভু তুমি, প্রেমে মিশাইয়েছ
সইতে পারে না পরান, সইতে পারে না।
২.
প্রতিদিন
শিখে নেই—পরাজয়।
৩.
বেঁচে থাকার কালটা, প্রাণপণ
অথচ—মৃত্যু সামনেই ছিল
মানুষ কি অজ্ঞান!
৪.
মানুষ মিথ্যেই বলে
সুখী সে প্রতারণায়, প্রত্যহ।
৫.
মানুষ মূলত মনে
রাখে না কিছুই, বিদ্বেষ ছাড়া।
৬.
সুখের একটা জীবন পার করে, দাঁড়াই যেখানে
সেখানেই সাপ স্থির দুঃখের দুই দাগে,
মনে হয়—
মৃত্যুর মতো কোনো আনন্দ পৃথিবীতে আর নাই।