ন্যুড
পিপুল গাছের তলে; জুতা ছিঁড়ে আমাদের শহর হারিয়ে গেলে—
লিখে রাখি ন্যুড। শালগম বনে—শরীরে পিন ফুটছে বাতাসের।
আমি আর কেউটে সাপ—নুয়ে আসি স্তন বৃক্ষের ছায়ায়;
দূরে হাস্নাহেনায় রোদ নামছে ধীরে—একা একটা গজলের পাশে।
প্রেমিকের বীর্যে নষ্ট হচ্ছে পৃথিবী; নষ্ট হচ্ছে তোমার মেয়ে— সংসার—ঘর
এবং প্রকৃতি। দূরের ফতুয়া পরা সন্ধ্যায়; জ্বলে ওঠে বাংলা কাগজের নোট;
ঘরে এবং বাহিরে গণিকার শাড়ীতে বসে হুরের শরীর—ডুবে ডুবে শ্বাস নিচ্ছে
মাছদের মনে।
ঘড়ি
পাতাদের মনে শীতকাল বসে আছে
এ কী প্রেম?
না কি বেদনা?
তা জানার আগেই বৃষ্টিতে ভিজে গেলো সব
কোথাও পাখি নেই
মন নেই
শুধু
উড়ার শব্দে পড়ে থাকলো হাহাকার
যেন
সব কিছুই দীর্ঘ হচ্ছে নষ্ট ঘড়ির কাটায়…
ব্লু
বাতাসের ব্লু-থিম গেয়ে উঠে
যে সকল নারীর শরীরে
সমস্ত দুপুরে এঁকে রাখি
পরিখা তাদের—
যেন
আদিম প্যান্ডোরায় বাঁধা স্মৃতি
ঝুলে আছে আপেল শরীরে;
এমন সব ছবির ভেতর
লুকিয়ে থাকে
বিরহ;
প্রেম
আর
বুকের কাছে ফুটতে থাকে ব্যথা;
খুব ধীরে
যেন কথারা ডানা ফেলেছে বাতাসে
অথচ
শরীরে তোমার আদিম পাখির গন্ধ
বেজে উঠে রোজ—
গাছের লিরিকে—গাঙের ঢেউয়ে।