হে পাতক চলো
সমনপ্রাপ্য শীতের ওপারে যা কিছু দোলে তাতে প্রেম নাই,
গীতল লাতিনো দোলে!
যে হাতে প্রতিদিন মৃত হাতি ওঠে তাকে লাখপতি করে দাও!
দেখোনা দূরতম ছায়াতল? ওখানে ডাকছে ভাষার ভাপসা স্বরলিড!
আজ আমারো পকেট থেকে গড়িয়েছে স্মিত শীতের খাইখরচা।
প্রেমকে আমি ভিক্ষা করতে, গান ও গাছের কাছে ধরনা দিতে দেখেছি।
মাতাবিহগ থেকে যেভাবে খাবার কেড়ে নেয় নোটন, দেয় ডান্স
তার সাথে
পালানোর আগে প্রেমিকার হাত ধরে
যে মেরুন খসখসে কাগজে অলিখিত বিরহ গুঁজে দেয় প্রাপ্তবয়স্ক অলিভার টুইস্ট
তার সাথে
রাতসপ্তকে ঘাতক গিটার থেকে যে সুপ্রভ সুর ভেসে আসে
তার সাথে
হে পাতক চলো আগুয়ান মেলে দেই প্রেমোদগম রূপোর ডানা!
ফালি ফালি করে দাও বিরহ, চুম্বনপ্রহারে
ইতিউতি করতে শিখে
অধিকৃত জংশনের দিকে তাকাচ্ছি
বিপুল বিক্রির আশায় মাখি পাপীর কানের কাবাব
নিমার আয়ত শরীর থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসি, শিশিরশিশু
মর্মমূল।
নগ্নত্ব পুরা হলে সবটাই নজলনীল,
ফুয়েল ফুরালো।
ভদ্রতার জুতোয় হে লন্ড্রি
কিছুদিন তাপশোষী চাপ মেশাও
ঠা ঠা রোদের নিম্নতল কাঁপিয়ে
ফালি ফালি করে দাও
আতপবিরহ, চুম্বনপ্রহার অক্সিজেন
গাছেদের অযৌন মিলন ভরিয়ে
অবিচল ইলিউশান।
মিলতাল।
গায়েবি অভিমান হচ্ছে কিসের এত
পোড়া কানে খুব যে বেজে যাচ্ছে কাইলি মিনোগ?
এই নূরহিমে আজো আসে— শে ও সে
(অধিপ্রিয় কবি মঞ্জু ভাই ও মুনিরা আপাকে)
এই নীল আঁকশি ভেঙে কোথাও বাজে আকাশের বিয়ে
পড়ে গেছে নূরহিমে শে দিপ্র সন্ধ্যার তারাদের নিয়ে
কোথাও নেই বাকি অরিত্র ফুলের কূলখানি
জানা নেই ঈশ্বর নেমে এলে কার ঘটে কুলখানি
তুমি নেই তুমিও নেই আমি কি আর আছি আমি?
কবি মঞ্জুমনীষা কি কবিতার আজও এক নিঘুম সংঘচারী?
তার দিকে যাওয়া গেলে দায়াস্পোরা ক্যানিয়ন জেগে যাবে তবু?
মেহেকানন্দা কাব্যে ভাষান্তরিত যার ডানায় অফুরান ওড়ো, হে শবনম
গভীরতম শে ডাকে ডাক মুনিরালোকের অবসৃত শব্দসারসে
হাআহ্ হায়ওয়ান
হায় আহ্জন
জানুআরি এলোইনা অথচ তোমাদের কীর্তির ফেরিফেরি থেকে জানোয়ারই তাড়াতে পারলাম না!
কত কী করার কি ছিল নাকো বাকি?
উজ্জ্বল অব্যয়!
কিছু কাক তারও অধিক কিছু কূটকীট এদিক ওদিক
প্রাচীতে পাশ্চাত্যে অবাচী উদীচীতে নিজনিজ ঘুটঘুটে মগজের ভেতরে
কী সব হাতড়ে বেড়ায়
আর ‘আত্মবিধ্বংসী কবি’ দেলোয়ার হোসেন মঞ্জু
ও
মুনিরা চৌধুরীকে নিয়ে
কবিতার বাইরে কুকথার এন্তার কালকূট ওড়ায়।
বিকেল— যেন কার রোদের ছায়া
দেয়ালের জানালায় কায়াস্মৃতি ফুটে আছে
সেখানে সময়ের পতঙ্গ জমে গেছে ক্ষির
রোদের ছায়া তখনো যে বিকালের সিনোনিম
ওখানে শঙ্খবার
ঝরে গেছে বাজেরিগার—
সবুজ, নীল, হলুদ, শাদা, বেগুনি, কোবাল্ট
মৃৎ-সমাধি ঢুঁড়ে আরও গভীরে যেন
আকাশের দিকে গেছে পাখিস্য পাখিসব
অধিক মৃত আরও অধিকাধিক অসারতা পেতে
ওখানে শঙ্খবার
ঝরে গেছে মনা, মুনিয়ার—
সবুজ, নীল, হলুদ, শাদা, বেগুনি, কোবাল্ট
মানুষের আগে জমে পাখিদের যত কোলাহল
মরে গেলে মানুষেরো আগে তারা নদীর ওপাড় পায়
এপাড়ে হতাশায় অবসাদে কার ওঠে চোখে চিৎকার
ওখানে শঙ্খবার
ঝরে গেছে স্প্যারো, জাভার—
সবুজ, নীল, হলুদ, শাদা, বেগুনি, কোবাল্ট
বিস্রস্ত বিছানার কান্না
যে বিছানায় শুলে ঘুম আসে—
তাকে আর কেউ ভালোবাসে।
সে বিছানাকে আধক্রোশ হেঁটে গিয়ে ধরা যাক।
যে বিছানা টানছিল আমাকে—
তার ওপারেই তুমি ছিলে একদিন।
আজ বিছানাটা ব্রীড়িত—
কম কম আঁচে সেও আজ পীড়িত।
মাথা থেকে ক্রমায়ত হরিৎ তাপ ছড়িয়েও—
তাকে আর উষ্ণ করতে পারছিনা, তুমি ফলাচ্ছ মিরর এখানেও।
আজ রাতে—
এই বিছানাটার হলো অলীক অবমাননা
তাকেও যে রাহাজানির জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হলো!
তবু নিদেনপক্ষে বিছানাকে ভালোবাসতে হলে—
তাকে আমি আর দেখবোনা দ্বিদৃষ্টিতে।
এই ওয়েস্টার্ন হেমিস্ফিয়ারে—
আমার ঘুমঘড়ির সময়চক্র পালটেছে,
আমি টাইমজোন উতরে যেতে পেরেছি যদিও বা।
তথাপি বসন্ততিলক জানে—
তোমাকে ভালোবাসার সাথে বিছানার তিলমাত্র যোগাযোগ নেই।
ঈশ্বরবোধ অথবা শব্দবিয়োগের নিওলিথ গল্প
মাঝে মাঝে—কবিতা ও জীবনের বাইরে যেতে যেতে— চলে যাওয়া যায় স্নানোৎসবে
একটা পেয়ারা বাগানে ঘুরে ঘুরে নিজেরে জানাতে মন চায়—আমি টোটালি মিথ্যায় না-ঘুমানোর দলে, জানো?
আহা কী ইনজিন—কোথা পাই সেই মকরধ্বজ-তেজ—কবিতায় আমার অনগ্রসরতাজুড়ে!
আমার অনগ্রসরতাজুড়ে কী অমাংসল—গুটিয়ে যাচ্ছে সারি সারি ঢেঁড়সের তীক্ষ্ণতা!
মানুষ: ইটের মাতম তুলে অসার-কাঠের এই পুতুলগুলো—এই এক নভোনীল গ্রহ গড়ে দিলো—থিম্পুর কমলালেবুর সারল্যে।
সবুজ এই বদ্বীপ—গাছে গাছে খুব একটা ক্ষুধিরামের-ছায়া-না-থাকা জনপদ এই
বাল্যকালে—খোদা শুনতেন, আমরা শোনাতাম প্রিয়কথার সুর—রেহেলে ঝুঁকে ঝুঁকে।
তাহারেই হারায়ে খুঁজি ইতিউতি—অতিহাসে-ইতিহাসে
নিরল নিয়ন্তার প্রচ্ছন্নবেশ মা’র কাছে রেখে আমরা—অতিদূর লুব্ধদৃষ্টির সহিস-মাহুতের অরবিটাল ভেঙেছি!
সাত আসমানকে জানিয়ে দিচ্ছি আজ কেবল বুক দুরুদুরু—নিযুত ক্বলব!
ঈশ্বরবোধ অথবা শব্দবিয়োগের নিওলিথ গল্প—ফারাও শরীরে ধীরে ধীরে আসে নেমে।
তিনিও জানেন—ঈশ্বরবোধ অথবা শব্দবিয়োগের নিওলিথ গল্প—আমি কোনো দুঃখাবহ স্বপ্নমুখরতার কথা ভেবে লিখি নাই
লিখিনাই সিদ্রাতুল মুন্তাহার নিচে—সাতখানা আসমান, সেইসব ‘খ’!
কবিতা ও জীবনের বাইরে যেতে যেতে হারিয়ে গিয়েছি আমি—ফেইসবুক দ্রুমে!
আর এদিকে মা’র কাছেই— মছে আমার ঈশ্বরবোধ।
উড্ডয়নলীন রাত্রির গান
হাজার ফুটের ‘পর নীল উল্কার দেশ,
আকাশ তার সাথে কথা বলেনি একতিল।
ঊড়তে পাড়ার দুরন্ত উল্লাসে
অন্ধকারের শেল্ফ থেকে অন্ধকার ঝেড়ে
একাত্তর পাতার প্রতিটি বই পড়েছি আমি।
গুটি গুটি পায়ে এগুনো রানওয়ে অভ্রপ্রতিম।
তবুও তো উড়বো, মুক্তি বেগ ছাড়িয়ে।
মানচিত্র এইখানে ম্রিয়মান,
লুডুর ঘুটি অথবা
মনোপলির নোটের মতো লাভলি।
কারডিনাল ম্যাগ্নেট দুলুনির
প্রায় মিনিটপঞ্চাশেক পড়ে অদ্রি নেই,
জাহাজমুরিং নেই,
শুধু বড় বড় শহরছবির ক্লিক-রিক্ত গ্যালারি!
প্রবল ইচ্ছার জোরে তুমিও…
প্রবল ইচ্ছার জোরে তুমিও
অস্পষ্ট জানালায় শূন্যবক্ষ অন্তরীক্ষ পেয়ে যাবে
সেদিন আসছে…
বিবেকলগ খুলবে কি, সাইকিক গগনযাত্রী?
সহস্র জোনাকি মিটিমিটি হাসছে,
সবুজ ঘাসজলে…অসম্ভব ঐকতানিক।
শব্দবন
এই নেকটারিনঘ্রাণ
এই শব্দবনেরা
কী নিহিলিন এই দুপুর দুপুর
পালঙনরম রোদে কারা যেন
ট্রেসপাস করে গেছে যবক্ষেতে, প্রাচীনতা
গূঢ়।
বিকল জাহাজের ছায়া কার দিকে
চেয়েছিল ভোরের বিষাদ
কারা যেন ঝুঁকে ঝুঁকে আউরে যায়
লাম ইয়ালিদ ওলাম ইউলাদ!
আ গিফট অভ দ্য মেজাই
ওহে জলপ্রপাত তুমি শুদ্ধাচারী,
মৃত্যুর পথে তোমার একমাত্র বাড়ি।
নিয়তির বাতায়ন খুলে টেনে নাও
খুউউউউব অক্সিজেন!
ঘাড় ঘুরিয়ে একবার হেসে নাও-উদ্দাম…
বেচে দিও জিমের রিস্টওয়াচ,
ভালো দাম পাবে ডেলার চুলের গোছার।
সেলফোনে তুলে রেখো বনলতার সেলফি,
মুছে যাবে তুমি সবার আগেই তবু।
কাউন্টডাউন শুরু…
অ্যাকচুয়ালি প্রথারা পারেনি ফেলতে কিছুই, থামাতে কিছুই, নামাতে কিছুই,
টলাতে কিছুই, ঝরাতে কিছুই কিংবা ডোবাতে কিছুই।
বস্তত কিছুই খোয়া যায়নি—
না ডেলার, না জিমের—না রবির না ছবির না কবির।
চুপিসারে এসে কনফেস করে যেও দাগি বন্ধুগণ-
নিদান তো দূরে না মোটেও
এসো কাঁদতে, গোঙাতে…
আর এই মনফেরানো কনফেশনে
তোমার আওয়াজ যদি হয়েও যায় বাজখাঁই…
কথা দিয়ে রাখি…
জানবে না জলচোখ, ঝরবে না অ্যাকুয়াস হিউমার-
শুধু নিভৃতে হাউই হয়ে উড়াল দেবে সেই সবুজ টাই!
কিছুই হারায়না
কিছুই হারায় না আদপে, রূপান্তরে টিকে থাকে,
সেটাও কোনো বড় কথা নয়, উৎস টিকে থাকে
হারানোকে ফিরে পেতে নতুন রূপে।
আবার টিকে থাকে হারানোর স্মৃতি, সেটাও
হৃতজিনিসের অবচেতনভাবে বেঁচে থাকা,
বহুপশলায়
ফিরে পাওয়াটাওয়া স্থিরায়ু, অমরতা।
হারানোকে আনকা অবাক করে দিতে পারে কেউ কেউ,
যারা ঘুম থেকে জেগে ওঠে খরচ না করে নিজেকে, নিকানো স্বপ্নে।
সব ফিরে আসে ফের, কিছুই হারায় না
সম্ভবত হারানো এত সহজ নয়।