কাঠ গোলাপ
গোপনে ঢুকে যাই তোর শহরে…
অলিগলিতে কারফিউ জেনে
ইচ্ছে করছে—
সবকটি দেওয়ালে লিখে দেই
অসুখের নেইম-প্লেট
জোনাকির আলো
স্রোতের বিপরীতে গাইবে না গান…
তবু—
নথের আঁধারে নামে
কালো বৃষ্টির দীর্ঘশ্বাস।
যে গোপন দিয়েছিল অমরত্বের স্বাদ
তার বুক ভেঙে লিখি একটি নাইট ক্লাব,
মেম্বারশিপ হবে না জেনেও কল্পনায় ভাসি…
স্রোতের দৌরাত্ম্য নেই, আঘাতের ছুরি নেই
কিছটা সময় আনচান করে ব্যর্থ হয়
কার বুকে লেবু ফুল, কার চোখে আমের মুকুল
না ভেবে ছড়িয়ে দিয়েছে
সেইসব লেখা-পত্রের ভাঁজ; ওখানে দাঁড়িয়ে আছে
জন্মদিন…মৃত্যুদিন
সিরিজ প্রেম
দাদির থুতনিতে কালশিটে দাগ রেখে কথা উড়ে গেছে—
জলে জন্ম হওয়া ঈশ্বর স্বর্গের ব্যালকনিতে
কিছু উচ্ছ্বিষ্ট গোপনে রেঁধে ঘুমিয়ে গিয়েছিল।
তখনো অপেক্ষা ভীষণ নিষ্পাপ,
আঙুলের ডগায় কিংবদন্তি বাজে।
আমি ভাবলাম তুমি একশত দশখান কিতাব ঘেঁটে,
নিয়ে আসবে কিছু অযান্ত্রিক স্প্যাম।
দিনের রঙ উড়বে বাগানের পশ্চিম উড়বে,
বারান্দার হাসনাহেনা উড়বে—
সাথে উড়বে পরিমিতির সূত্র।
যেখানে বর্গক্ষেত্র পাড়ি দিয়ে তোমাকে ফিরে যেতে হয় নুহের নৌকায়।
নিরাশার মেঘ
এই তীব্র সন্ধ্যায় কেমন ঝাপসা হয়ে যাচ্ছ তুমি…
কতদিন কত রাত এমন করে মন খারাপ হয়নি;
ভেবেছি আমার আর মন খারাপ হবে না কখনো,
বুক খামচে ধরেছে ব্যথায়, নিরাশার বজ্রপাতে
বহুকাল আহত হয়নি।
ভালোবাসা এমন করে পালিয়ে কেন যায়?
অথচ আজন্মকাল প্রেমিকা হতে চাইনি…
বুক আনচান করে, বাতাস বয়, মন বলে কেউ থাকলে মন্দ হতো না…
পাশাপাশি বসে গল্পের রোদ ওড়ানো যেতো,
ছোটখাটো বিষয়ে তোমার অভিমত চাইতাম
খুব অনিচ্ছায় একটু হাত ছুঁয়ে দিলে খারাপ লাগতো না।
ছোঁয়াছুয়ির ইচ্ছেকে হাসির আড়াল করে দিতাম।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও আমাদের তাড়া থাকতো না ঘরে ফেরার…
অতপর
জন্ম থেকে জ্বলবো এমন কথা ছিল না—
কথা ছিল—
বুকের দ্রুতগামী ট্রেন পলকেই রক্তপাত ঘটাবে।