রাধারাণী
নাম লিখে যায় বৃষ্টি জলে
জানিনে রাতে কোথায় ছিলে
চরণচিহ্ন মুছে ফেলে
আমিও এবার যাবো চলে
তোমার প্রেম ছলনা ভরা
তোমার কোলে অনেক ভিড়
আমার দম বন্ধ লাগে
একলা বৃথা হই অস্থির
পথের দিকে চেয়ে থাকা
বলবে কীসব, তাও তো জানি
ভালোবাসা তোমার খেলা
আমার খেলা খুনোখুনি—
প্রেম দেখানো পাপের চিহ্ন
এই নরকে তুমিও দেবী
জ্বলতে থাকার রীতিই এমন
যে জড়াবে সেও ভস্ম
কে তোমারে মুখে তুলে
কে তোমারে নেয় গো কোলে
কার গায়ে ভেজা হাত মুছলে
আমি সকল যাবো ভুলে!
আড়ালে
মানুষ কী শুনতে চায় তুমি জানো—প্রেম তোমার কাছে
ডাল-ভাত হয়ে গেছে। ভালো লাগে খেলা, খেলতেছি
আমিও তাই বিরহী! রোজ কানতেছি
ডাকতেছি সারাবেলা, যেন তুমি ছাড়া মরে যাচ্ছি—ঝাল
চটপটি নিয়ে তুমি ব্যস্ত। পাস্তা, পিৎজা, কোক! রকমারি
লোক। চারপাশে অসংখ্য ভিউ। তবু সোনাপাখি
আই মোমো ইউ! তুমি বুঝে-শুনে পা ফেইলো, লিংক দিও!
অজান
তোমার কিচ্ছু আমি জানিনে, তাই সারাদিন মনে করি।
নাস্তা করতে গেলে মনে হয় তুমি সকালে কিছু খাইছো তো! সারাদিনে
কয় বোতল কোক খাও, কারে কারে ভালোবাসা শেখাও? ইশারায় কারে
করো অবশ? কত দীর্ঘশ্বাস গায়ে মাখো আর আশা-নিরাশার ছলনায়
ভাসাও কৌশলে—জানিনে, জানিনে।
ভালোবেসে আমি ভুলে গেছি দুনিয়া, তোমারে মহাশূন্য বলে মনে হয়!
প্রাগপুর
টান মারি আর বলি ভোলা
সামলে রাখতে পারিনে মন
কান্দে খালি কানতে থাকে
ভাল্লাগে না পোড়া জীবন
যায় নিভে যায় খুব সহজে
আগুন শেষে থাকে ছাই
তোমার দয়া-দক্ষিণাতে
মহাষৌধির অভাব তো নাই
কল্কে টানি, ঝোলা গোছাই
প্রেম এখানে অনেক হলো
এবার নতুন দেশে যাবো—
বলি তুমি আমার সঙ্গে চলো!
মুরারি
নির্দ্বিধাতে দিন চলে যায়, চাইলে তুমি না’ই বলো
অন্য কাউরে খেয়ে নিলে তোমার কি খুব লাগবে ভালো
ঘুম ভাঙতেই পাগল লাগে, ক্ষুধার মানে জানো তুমি
ফলাই চলো সোনার ফসল পতিত ফেলে রেখো না ভূমি
মেঘ আসে-যায় বৃষ্টি নামে, থমথমে আজ গণভবন
রাজ্যে মানুষ নাই ভালো আর স্বৈরাচারের চাইছে পতন
সেই লড়াইয়ে আমিও আছি এবং তোমায় ভালোবাসি
ইচ্ছে করে নাক ডুবায়ে, বুকের ঘামে-ঘ্রাণে মিশি
প্রেম হলো বীজ বুনতে থাকা, মন মানুষের গেছে মরে
অন্ধ হলে ক্ষমতাবান, রক্ত কেবল রক্ত ঝরে—
রক্ত হলো মহাষৌধি, রক্ত ভীষণ নেশার মতো
বেঁচে থাকার রীতিই এমন, দেয় না ধরা আকাঙ্ক্ষিত
লড়তে থাকি, লড়তে থাকে—লড়াই এমন সর্বজনীন
ক্লান্ত লাগে, ক্ষুধার্ত খুব, পাতে তুমি হও সমাসীন!