নাদিয়া জান্নাত এবং বর্ষা সংক্রান্ত যত ফ্যাসিনেশন
০১
বর্ষাকাল ও ছাতার সম্পর্কের ভেতর যে দুঃখ বসে আছেন তার নাম
নাদিয়া জান্নাত।
০২
আজ এইই শহরে বৃষ্টি হলো
তুমি নেই
এমন অসময়ে বাঞ্চোত বৃষ্টি
কেন এলো!
তোমার ভিজতে যাওয়া বায়নারে সাথে নিয়ে
আমি
একা
একা
একটা বুড়ো কদমের নিচে
বসে
দাঁড়িয়ে
পায়চারি করে
আধভেজা সিগারেটের পাছায়
অহেতুক চুষে চুষে
বমি ভাব আনলাম।
রাধা
কাজ ফাঁকির সেইসব অজুহাত
এই শরতে শেষ হয়ে যাবে ভেবে
কদমের সাথে সোনালুর বিবাহ প্রস্তাব নিয়ে
লম্বা চিঠির ভেতর নিজেরে গালি গালাজ করলাম।
আর দর্জির ডায়েরিতে তোমার বুকের মাপ
হঠাৎ বেড়ে গেলো!
রাধা
আমরা আলাদা হচ্ছি
তুমি
তুই
তোমরা
আপনারা
এবঙ
অতীত আমরা
পাশাপাশি বসে খরগোশের বিরহ নিয়ে আর কথা কবো না।
একটা ঘর ভেঙে তিনটা ঘর হলে ঘরামির উপার্জন বাড়বে
কিন্তু
দেশ বা দুনিয়া বিশেষ উন্নতি নেই বরং ভূমিহীন
হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে ডাঙর মেয়ে ঘরে রাখা কোনো কৃষকের।
রাধা
আসো একটা সরল অঙ্ক করি।
আমরা ঘর না বাড়িয়ে বরং
মন বড় করি।
মেনে নেই যা ছিলো কপালে
বালুতে ফলবে সোনা
ফলাতে জানলে।
অথবা আসো
এই শরতে
এক সাথে
দুধে ভাতে
মরে যাই।
পাশাপাশি দুটো কবর
হয়ে যাবে কিশোরীর বুক।
রাধা
০৩
প্রেমিকার বুকে ফুটে আছে জমজ কদম।
প্রেমিকের বারোমাস বর্ষাকাল।