ডালিমের সুঘ্রাণ
আমাদের এখন উইপোকার সংসার;
জাগতিক অপ্রেম শিখে আরামে দুলছে
বুকের ভেতরের ঘুমিয়ে থাকা দোয়েল।
ন্যাপথলিনের মতো সুঘ্রাণ নিয়ে
ছোট হয়ে যাচ্ছে রঙের কৌটা,
এ চোখে পানির জোয়ার,
ভেসে যাচ্ছে, সেমিকোলন-বিষয়ক জনসভা।
তাথৈ বৃত্তে বাউরি বিকেল,
চম্পক নগরে বন্ধক রেখেছে
. ঠোঁটের স্মিত কুয়াশা
নকশায় পার্কের ম্যাপ—
যুগল ব্লাউজ ফেটে ছড়িয়ে পড়ছে ভালোবাসা।
একটি শরীর অসংখ্য পরিকল্পনা।
শুনছ
. তোমার ঠোঁটে পাপ লেগেছে,
শান্তি শান্তি বলে গলায় মেখেছ কানামাছি ভোর
বিজ্ঞান বোঝো, উষ্ণতা কোথায় আছে বলো তো!
একদল স্বৈরাচারী সে নামক গ্রন্থি থেকে তুলে আনে
বোলিংয়ের শূন্যতা
তখনো ভীষণ তেজে পুড়ছে রাত
ইচ্ছে করে একটি নীরব বৈকাল নিয়ে ভেঙে দেই
অথবা লগআউট করে ফেলি
কেননা তুমি-আমি নামক একজন সে একজনই
এটাকে পাসওয়ার্ড ভেবে যত্ন করে তুলে রাখো
ওখানেই ধুরন্ধর মিথ্যাশ্রয়ী অর্গাজম
বয়স্ক স্কার্ফ ও দেশোয়ালি সমাধি গলাগলি ভাব,
তবে!
কেঁপে যায় সৃষ্ট কম্পনের বিস্তার ঢেউ ঢেউ পাড়
ঘাই মেরে গড়িয়ে যাচ্ছে নিয়মের রুটিন-
পার্সকেলের ক্যামেরায় ভেসে আসে তীব্র জলচ্ছ্বাস
শীৎকার গন্ধে মহুয়ার বাগান;
এখানে দুনিয়ার মজলুম ভাই ভাই
কেউ কাউকে ছেঁড়েন অথবা ছাড়েন,
নিয়মের শৃঙ্খল ভেঙে লোকজন জানে
এটাই আসল ইতিহাস…
বকুল ফুল
কার ঠোঁটে বকুল ফুল-
চোখের টানে ঝুর ঝুর ঘ্রাণ
দিশেহারা গল্পে ঝলকের খেয়াল,
তুমি একবার ও বলোনি
তুমি সেই বিরহী বিষাদ,
আঙুলের ডগায় সেতারের সুরে বেজেছ,
হৃদয় খুলে রেখেছি তোমার উঠোনে,
. সকাল সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে
হাহাকার তীব্র হয়ে এসেছে।
নস্টালজিক
ভাবলাম, পাখি পৃথিবীর ইতিহাসে,
প্রথম প্রুফ দেখার দায়িত্ব নেবে।
উগরে দিচ্ছে অসংখ্য পরিকল্পনা,
এবং কিছু কৎবেল
কেচ্ছা শোনাচ্ছেন আশ্চর্য জাদুকরী
শব্দের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন ডুমুর খেকো আকাশ।
আমি পাখিবান্ধব নই জেনে,
বাড়ির ছায়াসমেত গাছে
লুটিয়ে পড়ছে ঝর্ণার তীর।
পতিত পতনের মধ্যে
দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া পিঠের বাকলে
ভারি হচ্ছে অযাচিত অশোভন,
আমরা এমনই—
নদীও বাড়ির বাহনায় শুধু ঝাপসা হয়ে উঠি।
সময়োপযোগী কবিতা
ইদানীং চায়ে চিনি পড়ছে বেশি,
শিল্পবোধে যতটা লবণ দরকার,
সেখানেও উপচানো স্বভাব,
কবিতার শব্দে রস মেশাতে গেলে
জমে ক্ষির হয়ে যাচ্ছে,
বুঝতে পারছি বয়স বেড়ে যাচ্ছে
তার মানে এই নয়, মতিভ্রম ঘটবে
অথচ যত্রতত্র নির্বিকার তাই চলছে
ভালোবাসার ওপরে আকাশ
নিচে নদী—
এই বাহানায় লোকজন আকাশ আর জলের সীমানা মেপে
সময়কে করে দিচ্ছে পতিতা পল্লীর সর্দার।
কে কাকে লাগাচ্ছে বোঝা মুশকিল।
বিবাহিতরা সেক্সের ওপর মরিচ গুঁড়ো ছড়াচ্ছে
অন্যরা টমেটোর শস ভেবে চেটে খাচ্ছে।