কান্দিপাড়ার দুপুর
পাখিগুলো সামনে দাঁড়ানো খোলাবুকে সূর্যময়
উৎসবের চড়ুই উড়ে গেল ধলেশ্বরীর জলহীনচরে
দুপুরের তাপে মুছে গেল সিঁথির সিঁদুর।
দেবীরা দাঁড়ালো। হাসলো। মুখ ভেঙচালো—
স্তনে হাত দিয়ে দেখালো চৈত্রের চাঁদ।
আর কান্দিপাড়ার দুপুর পাহারা দিচ্ছে দু’জন পুরুষ।
নরসুন্দাপারে
বহুদিন পর ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে
দাঁড়িয়েছি নরসুন্দাপারে—পেছনে
হাহাকার জেগে আছে পরিব্রাজক পথে…
দেখো বিষণ্ন ফড়িঙ ওড়ে ঘাসের ওপরে
তার অতলান্ত চোখে বরফের মেঘ—
যেন জল্লাদের চোখজোড়া তাকিয়ে রয়েছে!
এতদিন যাকে সবুজ সবুজ বলে ডাকি
সে থাকে জলের ওপারে…
যে বাতাস বইছে এখন—সেও
সংস্পর্শের সুতা ছিঁড়ে উড়িয়েছে ঘুড়ি
আর ঝড় ও ঝাপটার অন্তরালে
উন্মোচিত হৃদয় নিয়েছে ভাসিয়ে…
ভূমির চাতাল
শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান কবিগণ।
সব দরজা বন্ধ হলে খোলা আছে অবারিত প্রান্তর
এশিয়ার প্রাণবিশিষ্ট ভূমির চাতাল।
এবার ধরুন তবে মহুয়ার ডাল—রক্তজবার কালিতে
লেখা আছে ইলামিত্রের নাম।
তেঁদড় ইঁদুরের যদি বাড়ে উৎপাত
প্রস্তুতি নিয়ে আছে কোঁচবিদ্ধ হাত!
এবার তবে সোজা হয়ে দাঁড়ান কবিগণ—
জোছনার আলোয় কেটে যাবে কবিতার রাত।