গণিত শিরোনামে
বোনের হাতে গণিত খাতা বৃত্তে জড়োসড়ো
শিশুর মেধা ভাষার-ভারে কাঁপছে থরোথরো
অভিমানের বৃষ্টি এলো শ্রেণীর ধারাতলে
আজ ভূগোলের দৃশ্যজুড়ে অংক ভাসে জলে।
এবার তুমি ছাত্রীহীনা, বিদ্যাবিনা ডাকে
যুক্ত করো শ্রাবণ দিয়ে বর্ষা নামে তাকে
ছিট্কে পড়া রঙের গতি বিস্তারিত কোণে
সম্পাদিত বাল্যস্মৃতি বালক রাখে মনে।
বন্ধু ভেজে জটিল জলে, সূত্রসহ ক্রোধে
দলীয় মেঘ, যথা ঋতুর সরল অনুরোধে
দুলছে দূরে মুগ্ধ-ঝড়ে ভীতি দুর্বলতা
বেণীর চুলে ব্যাখ্যা জমে পাচ্ছে নীরবতা।
পূর্ব থেকে পশ্চিমে সে দৃশ্যে তুমি ছাড়া
জগৎ থাকে জলীয় দোষ, মহানিদ্রা দ্বারা
সংখ্যা যত উধাও, তারা জাদুর সাদাখাতা
এক আকাশে উড়িয়ে নিলো পাঠ্যসহ ছাতা।
এবার তুমি ভগ্নি নহে মাতার অধিকারী
অথচ নও লাস্যময়ী বলছি তাকে নারী
দিবস দিয়ে রাত্রী আঁকি বোন-যে অভিনীত
সম্প্রদানে কী নাম দেব বালক প্রচলিত।
আবারও মেঘ পাঠাও তুমি পত্রভরা খামে
সূচক দিয়ে গ্রহণলাগা জ্বলছে দেহ কামে
বালিকা তার দেহে বকুল ফুটন্ত কদমে
ভুলবশত ভিজতে ডাকে গণিত শিরোনামে।
গমন
চূড়ায় নেমেছে চাঁদ, মাহেন্দ্র বনের আশেপাশে
আর তুমি প্রত্নবিদ—রক্ষিত ধানের ব্যাকুল বাতাসে ভেসে এলে
যদি আসে গণিত শিক্ষিকা
নিবেদিত অন্ধকারে, সভ্যতার তৈজসপত্র ভেঙে যায়।
ভাসে যদি বেনজিন সংকেত
ধরো——নিমগ্ন গ্রামের পথে;
গার্হস্থ্যবিজ্ঞান ফেলে ছাত্রী চলে যায়।
নন্দনতত্ত্ব
তোমারে কাছে ডাকি, রসে-বসে প্রতীকী বন্ধনে
ফুলশয্যার নন্দনতত্ত্বে চলো আজ নিজেরাই আড়িপাতি!
শুনে, আতর আর গোলাপের ঝাড়ে
তপ্ত বোতলে বরফের মতো ব্যক্ত হতে থাকো
তুমি কেমন বউ গো! কেমনতরো ইয়ং
আঁচলের গিটে খালি খালি ভয়-ভীতি বেঁধে রাখো?
যতই ইন্ধন দেই সুর হয়ে সেজে ওঠো
ভয় কী, আমিই মন্ত্র আমিই পুরোহিত।
তুমি কিন্তু ততটাই পরিত্রাহী।
চিরকূটে লিখে দাও,
‘সেকালে ঘটত সবই রেওয়াজ মাফিক
আর আজ ঘটনার শুরু মর্জি মাফিক।’
কী করি বারুদ ভেজা, বুঝিনি আগে—
এতটা অহঙ্কার থাকে যে আগুনে…
পরিশেষে আলোচনায় অর্থনীতি ভেসে ওঠে।