অসময় ছুঁয়ে যায় সরু ধানগাছ
যে ভাবেই শুরু করি থেমে যায় ঘটনাপ্রবাহ—
অতীতসাক্ষী নেই, কোনো স্মৃতি নেই নক্ষত্রের চোখে দেখি
. ঘোরশূন্যতাপ
নিছক জ্বরের ঘোরে প্রতিবাদহীন অথচ দেখছি তার আত্মপরিচয়
কিভাবে সাজানো আছে, চৈত্রের গান। মূল্যহীন। তাই অন্ধকার
এমন কঠিন হতে পারে
হতে পারে আক্রমণ, ভাঙা কথা। একটি গোপন খুলে
খুলে খুলে দেখি আর মনে পড়ে
অতীতসাক্ষী ছিল, স্মৃতি ছিল, ছিল এক গ্রাম্যসহচরী,
. সন্তানসম্ভবা।
ধারাস্নান
তোমার এই দাঁড়ালাম
ডাকলে কেন নিজের মতো
ঠোঁট বুলিয়ে ঠোঁটের ওপর
মুছতে পারি বুকের ক্ষত
চাঁদের ভেতর রক্ত জমে
রক্ত জমে বুক বরাবর
সমস্ত রাত উপুড় হবে
ভাসাও শরীর জলের ওপর
মেঘ জমেছে বুকের ভেতর
তোমার আমার ভাবনা সে কি!
হাত পেতেছি জানালা জুড়ে
বৃষ্টি হয়ে ঝরো দেখি!
রমণ
ওই মেয়েটি সন্ধ্যেবেলা রাত্রি চরায়
ওই মেয়েটি আত্মক্ষরণ বুনতে জানে
ওই মেয়েটির বুকের ভেতর অন্ধকূপে
ফিসফিসিয়ে মৃত্যু জানায় কানে কানে।
সেই মেয়েটি গাছের ডালে শান্ত দোলে
সেই মেয়েটির পেরেক আঁটা নগ্নদেহ
একটু পরেই চিল ও শকুন মহোৎসবে
একটু পরেই পুরুষ এসে ভাগ বসাবে।
ওই মেয়েটি তারার বুকে আলতো জ্বলে
সেই ছেলেটি চোখের জলে পুড়বে কবে?