নিম্ফোমেনিয়াক
আলোনোখ কেটেছে দাগ
গাছেরা নিম্ফোমেনিয়াক
সূর্যের কাছে খুলে দেয় রোজ
গহন গোপন।
দেখো, দেখো কী অশ্লীল!
যুবতী পাতাগুলো চুমুক দিয়ে খায়
আলোর ক্লোরোফিল।
স্নানঘর
শব্দগুলো নীরবতার ঠাণ্ডা জলে
অক্ষরেরা সাঁতার কাটে জলের নিচে
ছন্দ এবং দ্বন্দ্ব নিয়ে সাবান ঘষি
জলকলে গান, যুদ্ধ দিনের বিস্মৃত সুর
জল গড়াল আর কতদূর? আর কতদূর?
ঠাণ্ডা জলে নষ্ট সময়, কষ্ট ভেজাই
চুলের শেকড় গনগনে খুব বন পুড়ে যায়
শব্দগুলো জলের নিচে হচ্ছে শীতল
মনোদ্বৈরথ থমকে আছে গুমট গৃহ
জিহ্বাটাও হচ্ছে অবশ ও নিঃস্পৃহ।
কাচের দেয়াল ঝাপসা ছবি অন্যপাশে
যাচ্ছে গলে বদ্ধ পুকুর বিরান বাজার
মাৎস্য-চোখ উঠছে জেগে নগ্ন দেহে
স্নানঘরে জল-সাবান খেলা ছুটির দিনে
মল্লিকা ফুল যাচ্ছে ঝরে এ-আশ্বিনে।
রাস্তা
কিশোরেরা গ্রামের মেঠোপথগুলো টেনে নিয়ে যায় শহরে।
পাকা রাস্তাগুলো আকাশে তুলে দেয় যুবকেরা।
তখন বৃষ্টি হয়।
গ্রামগুলো ফলবতী হয় ফসলের মাঠে।
শহরের দালানগুলো বৃষ্টিস্নাত রোদে ঝকমক করে হাসে।
স্বপ্নভারানত রাস্তাটি মেঘের ভেতরে ডুবসাঁতার খেলে।
এরপর
টুপ করে নেমে আসে কোনো এক নতুন শহরে।
ধর্মগ্রন্থ
আপনারা যেসব ধর্মগ্রন্থের কথা বলেন,
যেসব ধর্মগ্রন্থ অনুসরণ করেন, এর কোনোটিই মূল ধর্মগ্রন্থ নয়,
যেমন কোরআন, ত্বোরা, বাইবেল, গীতা, গ্রন্থসাহেব
এগুলো সবই উপধর্মগ্রন্থ, এক মহান ধর্মগ্রন্থের খণ্ডিত অংশ।
যেটি মূল ধর্মগ্রন্থ, যা আমাদের সকলেরই অনুসরণ করার কথা,
তা এখনো রচিত হয়নি;
সেই গ্রন্থটি আকাশ থেকে নয়, আসবে মাটি থেকে, মানুষের হৃদয় থেকে;
আসমানি গ্রন্থেরা আগমন প্রতীক্ষায় জপ করছে সেই গ্রন্থের ধ্বনি
যা মানুষের ক্কালবে উৎপাদিত হয়;
সেই গ্রন্থের প্রতিটি পৃষ্ঠায় লেখা থাকবে একটিই শব্দ, মানবতা;
আর পৃথিবীর সকল মানুষ মিলেই
একদিন রচনা করবে সেই মহান ধর্মগ্রন্থ।