চশমা
গ্রিক স্ট্রিটের গ্রিক রেস্টুরেন্টের লাস্ট কাস্টোমার
পড়ার টেবিলে বই খুলে ঘুমিয়ে পড়া বালকের মতো
হুইস্কি নিয়ে ঝিমুচ্ছে, সম্ভবত সে কবি অথবা
অথবা নিজের নাম ভুলে গেছে অথবা স্বদেশ।
কাতালানে তখন চলছে স্বাধীনতা আন্দোলন!
বসে বসে ঝিমুচ্ছে কবি; আধিবাসী আইবেরীয়রা কি জাগবে না?
ত্রি ডি গ্লাসে ভেসে উঠে মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা।
দেহতত্ত্ব
বিদেশি ভাষা জানি না। তবু মনে এবং মন্ট্রিয়লে
তোমার ভেতরে, তোমার দেহদেশে ইমিগ্রেন্ট হয়ে থাকি!
পেয়েছি পাসওয়ার্ড। দশ দিগন্ত, দশ দিক, দশ হাত, দশটি ভুল
বাদ দিয়ে কেবলি তোমার কেবলায়-তোমাতে নিমগ্ন হই
নিমজ্জিত হই তোমার গহীনে আগ্নিয় লাভার মর্মমূলে!
তোমার ভেতরে গৃহগ্রহগাং’এ প্রবেশ করি, আহ প্রবেশ করি—
এবং প্রবেশ করি; অসূর্যস্পর্শী তোমার খনিজ পাওড্রেটেটিয়েট স্পর্শ করি
প্রবেশ করতে করতে বিদ্যুৎচেরা ঝিলিকে পেরিয়ে যাই দিগন্ত!
শরীরের ভাষা ছাড়া অন্য ভাষা জানি না। আমি ফ্রান্স শিখতে চাই না।
ফরাসি ভাষার চেয়ে তুমি এবং তোমার শরীরের ভাষা সহজ। তোমাকে শিখব।
তোমার বরফে, তোমার হরফে হাহাকার নেই।
হেলিকপ্টার
বিয়ে খেতে খেতে পান খেয়েছি, পান করিনি!
‘ভার্জিন বিক্রির ঘোষণা’ ভাবতে ভাবতে—
জর্দা-চুনের কড়া ঘোরে মনে-ব্রেনে ঘুরপাক খেতে থাকে একটি বিদেশি হেলিকপ্টার !
শাদা শাদা স্বর্গীয় তুষারের মতো ঘুরপাক খেতে খেতে বাতাসে ভর দিয়ে
হেলিকপ্টার ল্যান্ড করে পাখির মতো নেমে আসে—কবিতা হয়ে।
বাংলাদেশি ব্রহ্মপুত্র আর আফগানি গজানের জল বরফের নেশায়
মাল্টিকালচারে ছলছল মিলে মিশে যাচ্ছে সেন্ট লরেন্সের স্রোতে!