পাখির বাচ্চা
এখনো কিছু রীতি প্রীতিমুগ্ধ নয়, শকুনের
বিষ্ঠায় তৈরি সেগুলো—ভীতি তৈরি
করে, একটি কুড়াল পেছন দিক থেকে
মাথায় কোপ মারে, ঝোপ থেকে উঠে আসে
সর্প ও জন্তু! সভ্যতা এখন তো লুকিয়ে থাকতে
পারে না, মাটির ঢিবির ভেতর! যে বাচ্চাটা
ভয়ে চেঁচিয়ে কাঁদে, তাকে জ্যান্ত কবর
দেওয়ারও দিন নেই—সে কারণে ভোরের
বেলায় একটা পাখির বাচ্চা কী আনন্দে ডিম
থেকে ফুটে বের হয়!
বৃষ্টি
বৃষ্টি সময় মতো আসছে না কেন? বৃষ্টির জলে
চারাগাছগুলো লাগিয়ে দেব, ফসলের মাঠ
তৈরি করে রেখেছি, আমিও শ্রমিক পিঁপড়ে,
উন্মত্ত ও পরিশ্রমী, ঘেমে-নেয়ে রোপণ করি
উদ্ভিদ। বৃষ্টির মৌসুম এলে—আমিও অপেক্ষায়
থাকি, কখন বৃষ্টি নামবে আমার ভূমিতলে।
বড় বড় নদীগুলে দখল হয়ে গেছে, নদীর
অববাহিকায় থেকেও জল পাই না!
দুর্গগুলো
এখনো কত দুর্গ, দুর্গগুলো এখনো রয়েছে বলে
আমাদের দুর্গতি! যেখানে যত দুর্গ—সেখানে
ততটাই প্রেতের বসবাস। দুর্গ থেকে প্রেতেরা
ভাগ-বাটোয়ারা করে ভূমি ও জল! দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ
বাঁধায়, এমন কি গাধায় গাধায়! অভিজাত—রাজা
ও আমলা, সৈন্য ও ধর্মযাজকেরা, ভোর হওয়ার
আগ পর্যন্ত তাদের সাথেই রাত কাটায়! বাদবাকি
অন্যরাও কথা বলে না, বোবা হয়ে থাকে শুধু!