হেমন্তও চুমু খায় কলঙ্কের গালে
নাসির নগর থেকে গঙ্গাচড়া—দীর্ঘ এক শিশ্নধর সাপ। ফণায় ধর্মের বাণী, ছোবলে ভোটের বিষদাঁত। দুধকলা দিয়ে তাকে পুষেছিল আমাদের ব্যভিচারী মন। তারই প্রতিদান দিতে ফিরে আসে ধর্ষকামী শ্বাপদের যুগ। রাষ্ট্র বড় ধর্মপ্রাণ, সংখ্যাগুরু ধর্মে তার স্পর্শকাতরতা। লঘুরা মরুক, তাতে ভোটের হিসাবে কোনও প্রভাব পড়ে না। লঘুতত্ত্ব অনুযায়ী দ্রুত সব ভুলে যাওয়া ভালো। যত বেশি বিস্মরণ, ক্ষমতার ততই মঙ্গল। এদিকে অনেক ফুল বেহুলার কান্না হয়ে ঝরে। মনসা এসেছে ফিরে; কৃষকের গোলাঘরে নবান্নের আয়োজনও কাঁদে। লোহার বাসরে মৃত লখিন্দরই আমার স্বদেশ। ভেলা বহুদূরে থাক, গাঙুরে এখন কোনও পানাও ভাসে না। বিপুল লজ্জায় চাঁদ মুখ ঢাকে মেঘের আড়ালে। এ কেমন ক্রান্তিকাল, হেমন্তও চুমু খায় কলঙ্কের গালে!
অধর্মনগর
এখন সাইবার যুগ, টাচফোনে ভালোবাসাবাসি। তবু এক বোকা কবি জলায় প্রেমের মড়া খোঁজে। শ্রীকৃষ্ণ আসেন যদি বলে দিয়ো, আমি গেছি বুদ্ধের বাড়িতে। হেমন্তে নবান্ন নয়, কড়ি গোনে প্রযুক্তির মেলা। ওরা খুব ভালো ছেলে; কেন শুধু শুধু রাগ করো? পারো তো ওদের মতো ফটোশপে স্বমেহন শেখো। মনিটরে শুয়ে ওরা নিতে পারে ধর্ষণের স্বাদ। বট ও পাকুড়ে ওরা বীতরাগ—মূষিকের পাড়া-প্রতিবেশী। বৃক্ষহীন জনপদে ধর্ষকামী আগাছারা নাচে। মূঢ়দের কাণ্ড দেখো—দাহ করে কবিদের কুশপুত্তলিকা। ঊনকোটি থেকে খুব দূরে নয় অধর্মনগর। কখনও ত্রিপুরা গেলে সেখানেই আগে দেখা দিয়ো। ভাঁট ও আকন্দ ফুল বলে দেবে বাকি করণীয়।