দিব্যদর্শী
রাত পোহানোর আগেই তুমি
কোথায় গেলে দিব্যদর্শী?
খুঁজছি তোমায় তন্নতন্ন করে
গোলাপের রেণু স্পর্শী।
সুরমা ঘাটের নদীর বাঁকে
ছলছল ঢেউ দোলে।
স্মৃতির পাপড়ি পড়লো ঝরে
গভীর শীতের কোলে।
আকাশ কাজল মেঘে ঢাকা
দমকা হাওয়ার ডাক।
হাত বাড়াতেই হড়কে গেলো
কাণ্ডটা কী অবাক!
স্বপ্ন সিঁড়ির ছাদের গোড়ায়
ঝাপসা আঁধার নামে।
তন্দ্রা ভোরের ঝলক চিঠি
ঝলসে আছে খামে।
শেষ অঙ্ক
মাগো কেন আমাকে লুকাতে চাও
তোমার একান্ত কাছে
অসুখের শরীরে আর যে মা
আসে না কোনো কবিতা
আমার বাকল ফুঁড়ে
ঘা হয়েছে মজ্জায়।
দয়াবতী ঝর্ণা,
আমাকে একটি কবিতা দিও
আমার অবচেতন মন
পাঠ করবে শেষাঙ্কে
হরিণীর মতো ছোটাছুটি করছে
আমার নিঃশ্বাস
হে পাখি,
আমাকে গান শুনিও
কতদিন শ্যামার কণ্ঠ শুনিনি
মা আমার চুলে বিলি কাটে
মায়ের নিবিড় মমতায়
আমি আশ্বস্ত হই।
চোখের পাতা জলে ভাসে
আমি কি না ছিলাম মৃত্যু সহযাত্রী
আজ কঙ্কাল হাড়ের উদ্যানে
দৃষ্টি নিলীমায় মিশে একাকার
আমার ইশতাহার কলম খুঁটিয়ে
অনুরাগের চিঠিতে অক্ষর সাজায়।
পৃথিবীর পথে
অন্য এক পৃথিবীর পথে
হাঁটি আজ একা একা
যে পথে হাঁটে না কোনো মানুষ
যে পথে নেই রোদ, নেই কোনো বৃষ্টি
যে পথে নেই মেঘ, নেই অনাদৃষ্টি।
চলি চলি করে চললাম তবু যাই থেমে
বলা না বলার ভাষা শব্দহীন আঁধার
বোঝা ভুল বোঝা সময় অতি ক্লিষ্টের
আপন আর পর সে’তো হৃদয়ের
কেউ বুকে টানে আর কেউ করে দূর
কেউ বাঁচে গানে কেউ দেয় সুর।
আমি চলি অন্য পথে অন্য দিগন্তে
এ পথে আঁকাবাঁকা নদী ছোটবড় ঢেউ
আমার পথ মসৃণ নেই কালো শত্তুর
অন্য এক সমীরণে আচ্ছাদিত এ পৃথিবীর ভোর।