পরম্পরা
নিহত গোলাপগুলো পড়ে আছে—বুকে বেঁধা বিচ্ছিন্ন কার্তুজ,
রোদগুলো আঁধারের গোগ্রাসে নিঃশেষ,
এখন তাদের বুকে সীমাহীন কালো সামিয়ানা
এখন তারা স্বর্গের প্রসন্ন দুয়ারে…
ক্যাফেটেরিয়া আর রেস্তোরাঁর বল রুমে
হাত কাঁপছে অ্যালকোহলে
গার্মেন্টকর্মী অজুফা বিছানায় সাজাতে চেয়েছে…
শোকেসে বিশ্বের দামি-দামি শোপিচ-সেন্টের শিশি
চীনামাটির নকশাকাটা হংসমিথুন
কিন্তু না। সেখানে দেখা গেল ধর্ষণের বীভৎস সব ছায়ামূর্তি
কী আশ্চর্য, এ সবই তদন্তে বেরিয়ে এলো
প্রতিটি ঘটনা-দুর্ঘটনার
পেছনে রয়েছে নিরন্তর এক অদৃশ্য শক্তির কালো হাত!
ভালোবাসি বলেই
ভালোবাসি বলেই তো আকাশ আমাকে দিয়েছে সুনীল…
হেমন্তের মাঠ-মাঠ সোনালি ফসল
উতুঙ্গ-সমুদ্র—ঢেউ ঢেউ স্বপ্নের ভাসান!
ভালোবাসি বলে চিন্তাহীন কাটিয়েছি দুরন্ত শৈশব
সবুজ যৌবন—আর ললাটে এঁকেছি নীল-স্বপ্নীল পৃথিবী;
আকাশের সামিয়ানা সেঁটে সূর্যের আড়ালে রোদের ঝরনা
শরীরে মেখেছি।
তোমার মুখ
সেই প্রাক-সূর্যোদয় থেকে হাঁটছি শিশির ভেজা দুর্বাঘাস
মাড়িয়ে হাঁটছি মেঠোপথ অবিরাম
সকালের লাল-লাল সমুদ্রের দিকে একা হাঁটছি…হাঁটছি
অনেক কাঙ্ক্ষার লাল সূর্যোদয় দেখার গোপন
. বাসনায়।
হাঁটতে হাঁটতে ধু-ধু তেপান্তর পার হয়ে এই
এই মুদি দোকানে এলাম
দাঁড়ালাম আর কিনে নিলাম নিষিদ্ধ
স্বপ্নের মতন নীল দুর্বোধ্য প্রেমের কিসমিস
দেখি রাজকন্যাদের লাল হৃদয় গলছে।
অভূতপূর্ব সে সূর্যোদয়
দেখার পর যেখানে নক্ষত্রপুঞ্জ হঠাৎ খসে-খসে পড়ে
আমি এসে দাঁড়ালাম সেই রূপকথার শ্যামল দেশে…
মাধবী তোমার চোখ-মুখের মতো কোমল সোনার পালঙ্কে!