তোমার নাম অফুরান জিজ্ঞাসা
চিকিৎসাবিদ্যা আয়ত্ত করেও
এতটা বুঝিনি পেশীর ছলাকলা;
কোনটাতে হাসি,
কান্নাতে লাগে কোন পেশী!
হেসেছ, আবার হাসোনি,
টেনেছ আবার টানোনি
রহস্য পায়নি কূলকিনারা
চোখে চাইতে গিয়ে ভুলেছি
ভ্রূ-ছাড়া মলিন সৌন্দর্য!
বুকের খাঁজের ভাঁজ উঁকি দেয়
উঁকি দেয় গাউনে ঢাকাপড়া নিবিড় নিবিড়তা!
তোমার পেছন থেকে পথের শুরু?
নাকি পথের শেষে তুমি দাঁড়িয়ে?
কালচে সবুজে খয়েরি,
নাকি খয়েরি গাউনে সবুজের গাঢ়ত্ব?
চেয়ারে হাতের ক্রিসক্রস গুণচিহ্নের মতো
জিজ্ঞাসা বাড়ায় দ্বিগুণ, তিনগুণ, বহু বহুগুণ,
তোমার নাম তাই অফুরান জিজ্ঞাসা…
মোনালিসা…
আমার কাছাকাছি কোনো বন নাই
তাই পাইনগাছ লাগাই,
শেষমেশ আমি তারে পাই
পাইনকাঠের টুকরোয় সাক্ষী হয়ে থাকে
কৌতূহলী করে তোলা সেই হাসি,
তেলরঙের পরতে পরতে ঝরে পড়া হাসি
ল্যুভর মিউজিয়ামে কক্ষবন্দি সেই হাসি!
অটবির অনন্য বিশুদ্ধতায়
স্মৃতির দৃঢ়তা থেকে অস্থিরতার অনুভুতিতে
অমরত্ব, প্রজনন, প্রজ্ঞা আর
আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হয়ে জেগে থাকে
মহাবিশ্বের ভিত্তিগুলোর
ঊর্ধ্বমুখী উচ্চাকাঙ্ক্ষা!
আঁকাবাঁকা পথ, জলনদী
আকাশে নিঃসীম নীল
গাছেরা কালচে আভরণে সবুজ!
সুডৌল ক্রিসক্রস হাত,
কাঁধ ছুঁয়ে আলোয়ানের আলেয়া
বহুদূরে জ্বলে যার আলো
মিলিয়ে যায়
সৌন্দর্যের আনন্দে!
জন্ম দিয়েছ কি শিশু?
উদরে বেড়ে ওঠা কোনো লাবণ্য?
ছড়াওনি ঠোঁট, তবু
অপ্রশস্ত হাসিতে গেয়েছ
ভূবন-জোড়া প্রশস্তির সংগীত
এমনই নাকি হয় প্রণয়ীরা
পৃথিবী ভোলানো আড়ালে
আজীবন মুগ্ধ করে রাখে,
উন্মোচন করতে উদগ্রীব
প্রেমিকপ্রবর, প্রণয়-উপাসক!
স্পন্দনহার আর দ্রুততায় ঘটে
পুনঃপুনঃ সংঘটন
চোখের নীরবতা ভাঙে ঠোঁটে
ঠোঁটের নীরবতা ছড়ায় বুকে!
সুদূরপ্রসারী কামনা জেগে থাকে
আলোয়ানের নিচে পাকাগমের রঙে!
এখনো বহু প্রেমিকের সম্ভোগ-শৃঙ্গারে
থাকো চুম্বনে, আলিঙ্গনে, মেহনে
মজ্জাগত রহস্যের মধুরক্বাথ হয়ে
মোনালিসা…
ইতালি, ফ্রান্স ঘুরে ঘুরে
রহস্য আজ বিশ্বজুড়ে
ব্যবচ্ছেদ হয় সেই রহস্যের
ব্যবচ্ছেদ হয় লিও, তোমার,
তোমার প্রেমের, তোমার পোট্রেটের
এমনকি প্রেমিকারও!
অপার সে রহস্যের সন্ধান পায় না
পর্যবেক্ষকেরা, অনুসন্ধানকারীরা,
পায় শুধু প্রেমিক-প্রেমিকারা!
আরও পড়ুন: ছবি থেকে কবিতা